সমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৪৭ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সারাদেশের স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী ভার্চুয়ালি দেশের সকল বিভাগকে সংযুক্ত করে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সভায় বিভাগীয় পর্যায়ে স্ব স্ব বিভাগীয় কমিশনাররা সভাপতিত্ব করেন। সকল বিভাগের ন্যায় রাজশাহী বিভাগও যুক্ত হয় কনফারেন্সে। এতে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর সভাপতিত্ব করেন।
সভায় যোগদান করতে বিভাগীয় কমিশনারের কনফারেন্সে রুমে উপস্থিত হন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী, রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, বগুড়া সেনানিবাসের ৯৩-আর্মাড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার খায়ের, রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরিফ উদ্দীন ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সামনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন বৃদ্ধি বা শেষ করার বিষয়ে মতামত চাইলে বেশিরভাগ কর্মকর্তাই লকডাউন বৃদ্ধির পক্ষে মতামত দেন।
এ সময় তারা বলেন, ঈদের আগে সবকিছু খুলে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে বর্তমান পরিস্থিতিতে। কিন্তু মিডিয়া ভয় দেখাচ্ছে বেশি। স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানতে মানুষের অনীহা এখনো রয়েছে। পুলিশ দেখলে মাস্ক পরছে, পুলিশ চলে গেলে মাস্ক খুলে ফেলছে। এ সময়ে মসজিদের ইমামদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। করোনা মোকাবেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মডেল হতে পারে সারাদেশের জন্য।
ভার্চুয়ালি সভায় তিনটি বিষয় গৃহীত হয়। জানানো হয়, সকল অফিস ভার্চুয়ালি খোলা রাখতে হবে এবং পোর্ট এলাকার সকলকে টিকার আওতায় আনতে হবে। এছাড়া রবিবার (১১ জুলাই) অথবা সোমবার (১২ জুলাই) অফিসিয়ালি নতুন নির্দেশনা দেয়া হবে দেশব্যাপী লকডাউনের বিষয়ে।