শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:০১ pm
নওগাঁ প্রতিনিধি :
নওগাঁয় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) আরকো’র নির্বাহী পরিচালক সজল কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন সংস্থার বহিস্কৃত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা। রোববার (১৭ জানুয়ারি) সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে আরকোর প্রধান কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সংস্থার বহিস্কৃত প্রতিষ্ঠাতা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও গ্রামবাসী লিখিতভাবে এই অভিযোগ তুলে ধরেন।
লিখিত এই অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে আরকো এনজিওটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন বোয়ালিয়া গ্রামের কয়েকজন বেকার যুবক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। সেই সময় সংস্থাটি একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। মরহুম মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হককে সভাপতি করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সাল পর্যন্ত পরিচালিত হয়ে আসছিলো।কিন্তু পরবর্তি
সময়ে হঠাৎ কমিটির নির্বাহী পরিচালক সজল কুমার চৌধুরী নিজের ইচ্ছে মাফিক প্রথমে নিয়ম বহির্ভুতভাবে দুইজন নির্বাহী প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে সাধারণ পরিষদ ও নির্বাহী কমিটির অনুমোদন ছাড়াই বহিস্কার করেন। পরবর্তিতে আরো তিনজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে একইভাবে বহিস্কার করেন। এমতাবস্থায় সংস্থাটিকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষে নির্বাহী পরিচালক বরাবর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা (বহিস্কৃত সদস্যসহ) বারবার যোগাযোগ করলেও এর কোন সুরাহা করা হয়নি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যদি দ্রুত সজল কুমার চৌধুরী বিষয়টি বহিস্কৃত প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও গ্রামবাসীদের নিয়ে বসে সমাধান না করেন তাহলে সংস্থাটিকে বাঁচানোর লক্ষ্যে অচিরেই রাজপথে নেমে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনসহ কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সংস্থাটির বহিস্কৃত প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মতিউর রহমান, জয়নুল আবেদীন, সাইদুল ইসলাম (সজল), আশরাফুল ইসলাম, নুরে আলম সিদ্দিকীসহ গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা।
আরকো’র নির্বাহী পরিচালক সজল কুমার চৌধুরী বলেন, ‘যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তারা গ্রাহকের নিকট ঋণ দিয়েছে বলে নিজেরাই আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি যখন জানাজানি হয় এবং তাদেরকে টাকা পরিশোধ করতে হবে তখন তারা নিজেরাই সংস্থা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তারা নানা তালবাহানা শুরু করেন। পাওনা টাকা পরিশোধ করলে তারা সংস্থায় ফিরে আসতে পারবেন।’ আজকের তানোর