শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৪১ am
এস কে স্বপন, মোহনপুর :
সারা দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্বস্তরের মানুষকে এই মহামারির কবল থেকে রক্ষায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে লোকসমাগম যেন ঘটতে না পারে সেই জন্য সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ আরোপ করেন।
ফলে গত কয়েক মাস থেকে বন্ধ রয়েছে সভা-সমাবেশ, বিয়ে, সুন্নাতেখাৎনা, ধর্মীয় ইসলামী জালসা, হরিবাসর কীত্তণসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অনেক দিন যাবৎ অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় ডেকোরেটর ব্যবসার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধের কারনে রাজশাহীতে শতশত মালিক-কর্মচারি চরম বিপাকে পড়েছেন।
জেলার তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া বাজারের সজল সাউন্ড এন্ড ডেকোরেটরের মালিক সজল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে কয়েকমাস ধরে তার ডেকোরেটরের ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল বেকার পড়ে রয়েছে। কোন ভাড়া না থাকায় নিজের পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে ধার-দেনা করে দিনাতিপাত করছি। তার উপর আবার দোকানঘর মালিকের ঘরভাড়া পরিশোধের চাপ তো রয়েছেই। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিয়ে ধর্মসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ হওয়ায় তার ৬ জন কর্মচারীসহ সবাই বেকার হয়ে পড়েছেন।
মোহনপুর উপজেলার ডেকোরেটর ব্যবসায়ি আবু বাক্কার বলেন, জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে আমি ডেকোরেটর ব্যবসা চালু করেছি। ব্যবসা ভালই চলছিল। সুখেই দিন কাটছিল। করোনাভাইরাস এসে অন্যসব ব্যবসা কমবেশি চললেও আমার ডেকোরেটর ব্যবসা একে বারেই বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমি সরকারি বিধিনিষেধ মেনে ব্যবসা বন্ধ রেখেছি। তিনি আরো বলেন, পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে সামনে ইদের আগে ও পরে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকার প্রোগ্রাম হতো।
ডেকোরেটর ডিজাইন মিস্ত্রি শুভ বলেন, ডেকোরেশনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা এ পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকরা অত্যান্ত কষ্টের মাঝে দিনযাপন করছি। অনেকে ধার-দেনায় সংসার চালাচ্ছি।
রাজশাহী জেলা ডেকোরেটর ও সাউন্ড সিস্টেমের মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ফেন্স ডেকোরেটরের স্বত্তাধিকারি মাজহারুল ইসলাম বলেন, নগরীতে ছোট-বড় ১৫০ ও রাজশাহীর পুরো জেলায় কয়েক শতাধিক ডেকোরেটর ও সাউন্ড সিস্টেমের দোকান রয়েছে এবং এ পেশায় অন্তত ৭-৮ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করে জীবিকা নির্ভর করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সকল কাজকর্ম বন্ধ থাকায় সবাই বেকার হয়ে পড়েছে।
এদিকে, ডোকোরেটর মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্ঠা গোলাম সারওয়ার স্বপন বলেন, বর্তমানে এই ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, আর্থিক প্রণোদনা ছাড়া তারা কেউ ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবে না। আজকের তানোর