শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৫৪ am

সংবাদ শিরোনাম ::
তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ পুঠিয়ায় ভুয়া ডাক্তার ধরে প্রাননাশের হুমকির মুখে সাংবাদিকরা রাজশাহী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন তানোর থানায় দালালের দৌরাত্ন্য বৃদ্ধি, অসহায় মানুষ দুর্গাপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক ৩ জনের কারাদণ্ড গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বন্ধু মিতালীর চেয়ারম্যানসহ আটক ৪ রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে আ.লীগকে দূরে রাখতে ছাত্রনেতাদের চাপ অর্ন্তবর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ না হওয়ার আহ্বান বিএনপি নেতাদের তানোরে সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সাম্প্রতিক সময়ে অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে সচেতন নাগরকবাসী
লক না রেইন ডাউন? ‘তুষার আবদুল্লাহ’

লক না রেইন ডাউন? ‘তুষার আবদুল্লাহ’

কে জিতেছে লকডাউন নাকি রেইনডাউন? শনিবার ঢাকার পথ ঘাট দেখে এই প্রশ্নই মনে এসেছে। ঈদের ছুটিতে যেমন সড়কে গাড়ির ভিড় , মানুষের চলাচল থাকে, তেমনটা মনে হচ্ছিল শনিবারের ঢাকাকে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার মানুষজন কম বের হয়েছে বা বেরোতে পারেনি বৃষ্টির জন্য। রাত ও দিনভর বৃষ্টিতে ব্যক্তিগত গাড়ি যাদের আছে শুধু তারাই বের হতে পেরেছিলেন।

এরমধ্যে বরষা বিলাসে কিছু মানুষ যে একদমই বের হয়নি তা নয়। তবে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বৃষ্টির ব্যারিকেড পেরোতে পারেনি অনেকেই। শ্রমজীবী মানুষ পথে বের হয়েছেন রোজগারে প্রতিদিনই। গার্মেন্টস কর্মী, হকার, ডেলিভারিম্যান, কিছু কিছু অফিসও চলেছে। বৃহস্পতিবারের চেয়ে শনিবার বেসরকারি অফিস খোলা ছিল বেশি। আজ রোববার ভিড় আরো বাড়তে পারে। তবে আগামীকাল নতুন অর্থবছরে প্রথম ব্যাংক খুলছে। ফলে রাস্তায় গাড়ি ও মানুষের ভিড় বাড়বে ব্যাংককেন্দ্রিক। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে এই ক’দিন বৃষ্টি কম হবে । তাই রেইন ডাউনের সম্ভাবনা কম। ফলে লকডাউন কতোটা সফল হবে বলা মুশকিল ।

আমরা লকডাউনে শুধু প্রধান সড়ক গুলোর কথাই বলছি, অলিগলির কথা বলছি না। পাড়া মহল্লাতে মানুষের জটলা আছেই। সেখানে মাস্কযুক্ত মানুষের সংখ্যাও নগণ্য। লকডাউন পাড়া মহল্লা পর্যায়ে সফল করতে প্রয়োজন ছিল স্থানীয় প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা। ওয়ার্ড কাউন্সিলাররা তাদের নিজ নিজ এলাকার জনসমাগম বন্ধ বা কমাতে পারতেন 

লকডাউন সফল করতে আইনশৃংখলা বাহিনী মাঠে আছে। তারা অহেতুক বা লকলাউন দর্শকদের আটক করছে, তল্লাশী করছে। কিন্তু নাগরিকদের মাঝে দায়িত্বশীলতা তৈরি না হলে তাদের পক্ষে লকডাউনে মানুষকে ঘরে আটকে রাখা সম্ভব হবে না। নাগরিকেরা যদি চিকিৎসকের এক বছরের পুরনো ব্যবস্থাপত্র নিয়ে পথে নামেন, আন্ডারগ্রাউন্ড বা অপিরিচিত গণমাধ্যমের পরিচয় দেওয়া গাড়িতে যদি যাত্রী পারাপার হয়, অ্যাম্বুলেন্সে বরযাত্রী বহন করা হলে আইন শৃংখলাবাহিনীও অসহায় বোধ করবে।

আমরা লকডাউনে শুধু প্রধান সড়ক গুলোর কথাই বলছি, অলিগলির কথা বলছি না। পাড়া মহল্লাতে মানুষের জটলা আছেই। সেখানে মাস্কযুক্ত মানুষের সংখ্যাও নগণ্য। লকডাউন পাড়া মহল্লা পর্যায়ে সফল করতে প্রয়োজন ছিল স্থানীয় প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা। ওয়ার্ড কাউন্সিলাররা তাদের নিজ নিজ এলাকার জনসমাগম বন্ধ বা কমাতে পারতেন। কিন্তু এখন ভ্রাম্যমাণ আইন শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে চলছে মহল্লার মানুষদের টিলো এক্সপ্রেস খেলা। পুলিশ সেনাবাহিনী দেখলে সরে যাচ্ছে, তারা চলে গেলে আবার এসে জড়ো হচ্ছে। ফলে কাঙ্খিত লক বাস্তবে ডাউন হচ্ছে না।

ঢাকার বাইরের দৃশ্যপট একই। শহর এলাকা ছাড়া সব জায়গাতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মানুষ বাজার হাটে যাচ্ছে আগের মতোই। করোনা সংক্রমণের বিস্তার ও মৃত্যু বাড়ছে এ খবর জানার পরেও, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা যাচ্ছে না। এর কয়েকটি কারণের মধ্যে রয়েছে- গত কয়েকদফা লকডাউনে সহজ চলাচলকে প্রশ্রয় দেওয়া।

জেলা থেকে জেলায় চলাচল স্বাভাবিক রাখা, পোশাক কারখানাসহ আরো তল কারখানা খোলা রাখা। যারা অফিস ও কারখানা খোলা রেখেছে তারা কর্মীদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফলে কিছু মানুষ ঘরে আটকা থাকলেও জীবন ও জীবিকার জন্য বাকিদের বের হতে হচ্ছে। রিকশা চলছে। কিন্তু রিকশা চালক ও যাত্রী করোনা মুক্ত থাকবে, সেই গ্যারান্টি কে দিচ্ছে? খাবার বা অন্যান্য ডেলিভারিম্যানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে পারবে কেউ?

সোমবার থেকে ব্যাংক খুলছে। বাজার ও বড় মুদি দোকান খোলা। এগুলোকে নিরাপদ ভাবা যাবে? সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়াবে না ? আর পণ্যবাহী ও অন্যান্য পরিবহন চলাচলতো সারাদেশেই উন্মুক্ত। এর মধ্য দিয়ে অদৃশ্য অণুজীবের সফর সচল রবে না, এ কথা কি বিশ্বাসযোগ্য? তারপরও আগের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কঠোর এখনকার লকডাউন। কারণ মানুষ নিজে থেকেও বের হচ্ছে কম। বিশেষ করে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি। ফলে লকডাউনকে প্রথম তিনদিনে আগের চেয়ে সফল মনে হচ্ছে। আরো সফল করতে প্রকৃতির উপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই, ঘন ঘোর বরষাই পারে অহেতুক বাইরে বের হওয়া মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে। লেখক :তুষার আবদুল্লাহ, গণমাধ্যমকর্মী।

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.