শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৩৫ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
সারাদেশের মতো রাজশাহীর তানোরেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সেইমতে আজ শনিবার লগডাউনের তৃতীয় দিন চলছে। ফলে প্রশাসনের অভিযানে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা হয়ে পড়েছে। সরকারি বেসকারি অফিসও বন্ধ রয়েছে। এভাবে এতো দিন গেলেও ঘরবন্দি কর্মহীন মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেননি কেউ। ফলে এসব কর্মহীন মানুষরা ঘরে বসে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের লগডাউন শুরুতে সরকার থেকে করোনা প্রনোদনা হিসেবে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে আড়াই লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এভাবে পুরো উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে, এউপজেলার দুটি পৌরসভায় করোনা প্রনোদনার জন্য কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি বলে জানান তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক।
এনিয়ে অটোচালক আশরাফুল ইসলাম জানান, সরকার ঘোষিত লগডাউনে ৩ দিন ধরে তার অটো নিয়ে ঘর থেকে বের হননি তিনি। ফলে কর্মহীন অবস্থান পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। তিনি আরও জানান, টিভির পর্দায় দেখছেন সরকার বাস, অটো ও চার্জার ভ্যান চালকদের পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরা বয়দের করোনা প্রনোদনা দিচ্ছেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস দূর্যোগে আজও কোন সহায়তা পাননি তিনি ও তার প্রতিবেশিরা।
এবিষয়ে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেছেন, এবারের লগডাউনে বৃহস্পতিবার পরিষদে আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এই বরাদ্দের টাকায় ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, তেল ও লবণ ৩১৩ জন কর্মহীন মানুষকে প্রদানে তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করা হয়নি। দুয়েক দিনের মধ্যে ক্রয় করে বিতরণ করা হবে। সাতদিনের লগডাউনে ৩ দিন চলে গেলেও তালিকা হয়নি কেন এমন প্রশ্নে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন চেয়ারম্যান। একই ভাবে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আহসানুল হক স্বপনও এড়িয়ে গিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেছেন, লগডাউনে সরকারি সহায়তা নিয়ে কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে ইউপি চেয়ারম্যানদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে কেউ অনিয়ম করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজকের তানোর