শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৩৬ pm
এসকে স্বপন, মোহনপুর : এবারের কোরবানি ঈদে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সেরা আকর্ষণ বাংলার কালোহাতি। কালো রঙের ষাঁড়টি যেন আস্ত একটি হাতি। এই ষাঁড়টির ওজন আনুমানিক ৩৭ মণ। কলোহাতির মালিক রেজাউল করির বাবু স্বর্ণকার বলেন, চাহিদা মত দাম পেলে বাড়ির থেকেই কলোহাতিকে বিক্রয় করবেন।
জানা গেছে , মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়নের সরমইল গ্রামের রেজাউল করিম বাবু স্বর্ণকার চৌবাড়িয়া হাট থেকে গত বছর কোরবানির হাট থেকে হলেস্টাইন জাতের এই ষাঁড় ক্রয় করেন। এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রর করার লক্ষে এক বছর লালন পালন করতে থাকেন বাবু স্বণকার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
আজ শনিবার (০৩ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে রেজাউল করিম বাবু স্বর্ণকার সাথে কথা বলে জানান গেছে, ষাঁড়টি কেনার পর থেকেই নিজের সন্তানের মতো করে কলোহাতিকে লালন পালন করেছেন তিনি। প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি আপেল, কমলা ও মাল্টা খেতে দেন এই ষাঁড়টি। নিয়মিত খাবারের মধ্যে আছে সুজি, ভুসি ও খুদের ভাত। বর্তমানে প্রতিদিন তিন কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টা খায় বাংলার কলোহাতি । প্রতি মাসে এই ষাঁড়টিকে সাড়ে তিন মণ সুজি, সাড়ে তিন মণ ভুসি ও তিন মণ খুদের ভাত খেতে দিতে হয় তাকে।
কেনার পর থেকে এখন পর্যন্ত খাবার ও চিকিৎসাসহ কলোহাতির পেছনে তিনি খরচ করছেন প্রায় ৪ লাখ টাকা। গরমের মধ্যে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার গোসল করাতে হয় কলোহাতিকে। গরম সয্য করতে পারে না একেবারেই। তাই বিদ্যুত চলে গেলে চাজ ফ্যান চালাতে হয়। ৩৭ মণ ওজনের কলোহাতিকে মাঝে মধ্যে বাড়ির বাহিরে বের করতেন হাটাহাটি করার জন্য।
রেজাউল করিম বাবু স্বর্ণকার, অনেক যত্ন করে লালন পালন করেছি আমাদের এই কলোহাতিকে। মন মতো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করবো। আর যদি ভালো দাম না পাই তবে হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে হবে ।
রেজাউল করিম বাবু স্বর্ণকারের স্ত্রী ডলি বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন স্বর্ণব্যবসায়ী। কলোহাতিকে নিজের সন্তানের মতো করে লালন পালন করেন তিনি। ষাঁড়টি আমাদের কাছে খুবই আপন হয়ে গিয়েছে। ওকে বিক্রি করলে খুবই কষ্ট লাগবে। কিন্তু বিক্রি তো করতেই হবে। সেক্ষেত্রে যদি ভালো দাম পাই তাহলে কষ্ট কিছুটা কমবে।
মোহনপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, আমরা ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করছি। উপজেলায় এই ষাঁড়ই সবচেয়ে বড়। আজকের তানোর