মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩৩ am
ডেস্ক রির্পোট : করোনা মহামারি শুরুর পর দেশে সবচেয়ে ভয়াবহ মাস ছিল চলতি বছরের এপ্রিল। মে মাসে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা কমতির দিকে থাকলেও জুন মাসের মাঝামাঝিতে সেটি ফের বাড়তে শুরু করে। যা জুলাই মাসে এসেও অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ১ জুলাই ১৪৩ জন মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যা দেশে এক দিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
গত ১ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনায় এক দিনে ১ হাজার ৭৬৫ জন আক্রান্ত ও ৪১ জন মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। এক মাসের ব্যবধানে ১ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৩০১ জনে ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে চলতি জুলাইয়ে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, জুনের প্রথম ১৫ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬০৩ জন। আর জুনের শেষ ১৫ দিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৮১ জনের। অর্থাৎ জুনের প্রথম ১৫ দিনের চেয়ে শেষ ১৫ দিনে মৃত্যু দ্বিগুণের বেশি। জুনে করোনায় মোট মারা গেছেন ১ হাজার ৮৮৪ জন। প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। যা এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। এপ্রিলে মোট মৃত্যু হয়েছিল ২ হাজার ৪০৪ জনের। প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৮০ জনের।
জুনে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৭১৮। যা এপ্রিলের পর সবচেয়ে বেশি। এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৭ জন।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। যা আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে। লকডাউনে গণপরিবহন, অফিস-আদালত সব বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে প্রশাসন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কঠোর লকডাউন চলমান থাকলে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসবে। এছাড়া মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং শনাক্তদের প্রত্যেককে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি শুরুর পর এ পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জন আর মোট মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৪৬ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। সূত্র : আজকের পত্রিকা