শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:২৬ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
করোনাকালে রাজশাহীর তানোরে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ফুঁসে তুলতে নেসকো লিঃ (পিডিবি) ও পল্লী বিদ্যুতের কন্ট্রোল থেকে অস্বাভাবিক ভাবে চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। একারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। পুরো উপজেলায় দিনে ও রাতে ২৪ ঘন্টায় ১০ থেকে ১২ ঘন্টা নেসকো ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এদিকে, যেমন প্রচন্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, হুমকির মূখে পড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এখানে বৃষ্টি নামলেই ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকছে। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, চলতি সপ্তার মধ্যে কোন বড় ধরণের ঝড়ো-হাওয়া না হলেও কারণে অকারণে নেসকো ও পল্লী বিদ্যুৎ এলাকাধীন এরিয়ায় ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকছে। গত মঙ্গলবার ভোর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে। এরপর বুধবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করলেও বিকেলে সামান্য ঝড়ের অজুহাতে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়।
এরপর মধ্যরাতে বিদ্যুৎ দেখা দিলেও আজ বৃহস্পতিবার সকালে এরির্পোট লেখা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার আসা-যাওয়া করেছে। এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে গিয়ে লোকসানের মূখে পড়ছেন উপজেলার ছোট বড় শিল্প কলকারখানার মালিকরা। এছাড়া তানোর ও মুন্ডুমালা পৌর এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় তরিতরকারি ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। বিদ্যুৎ বিভ্রাতে তাদের ব্যবসা-ব্যাণিজ্য বন্ধ হবার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়ে।
সম্প্রতি আজ (১ জুলাই) বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশের ন্যায় তানোরেও শুধু হয়েছে লগডাউন। এহেন পরিস্থিতিতে নিম্নায়ের মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ঘরে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে আয় উপার্জন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
এনিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন মোবাইল ফ্যাক্সি ব্যবসায়ীরা জানান, লগডাউনের মধ্যে গ্রাহকরা মোবাইলে নগদ, বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে টাকা আদান প্রদান করছেন। ঘরে বসেই তা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মোবাইলে চার্জ দেয়া যাচ্ছে না। ফলে তার এই ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
এবিষয়ে তানোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ চালিত গভীর অগভীর নলকূপ (পাম্প) বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট একেবারেই কাম্য নয়। এনিয়ে তিনিসহ এলাকার সচেতন মহল বিদ্যুৎ কন্টোলকারীদেরকে দায়ী করে বলছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ সংকট তৈরি করে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ফুঁসে তুলতে এমন উদ্দেশ্য মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। তারা অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এবিষয়ে তানোর নেসকো লিঃ (পিডিবি) আবাসিক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ঝড় ও বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়েছে। তাই ৩৩ কেভির তারে কন্ট্রোল থেকে সাপ্লাইয়ে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এটা কখন ঠিক হবে তা বলা সম্ভব নয়।
এনিয়ে তানোর পল্লীবিদ্যুৎ এরিয়া অফিসের এজিএম রেজাউল হক মন্ডল বলেছেন, চাহিদার তুলনায় ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মাত্র তিন থেকে চার ঘন্টা লোডশেডিং থাকে। তবে, প্রাকৃতিক সমস্যার সৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের মেনে নেয়া উচিত বলে জানান তিনি। আজকের তানোর