রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:১২ am
ডেস্ক রির্পোট : প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহার করা হয়েছে হৃদয় ও রুপা নামে পাবনার দুই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর আঁকা ছবি। সেই ছবির সম্মানী বাবদ তারা দুজন পাচ্ছে দুই লাখ টাকা। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সম্মানী ঘোষণার চিঠি পেয়েছে তারা।
আজ বুধবার (৩০ জুন) এই চিঠি হাতে পান বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দুই শিক্ষার্থী হলো, পাবনার বেড়া উপজেলার রতনগঞ্জ গ্রামের সাঈদ মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া এবং মাশুমদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আলিম খানের মেয়ে রুপা খাতুন। তারা দুজনই সুপ্ত শিখা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহার করা হয় দুই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হৃদয় মিয়া ও রুপা খাতুনের আঁকা ছবি। সেই ছবির সম্মানী বাবদ দুজনকে এক লাখ করে মোট দুই লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে সম্মানীর চেক ইস্যু করে চিঠি দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার আফরোজা বিনতে মনসুর গাজী লিপি স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর-২০২১ শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহৃত আপনার আঁকা ছবির সম্মানী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে এককালীন এক লাখ টাকা প্রদান করেছেন। এমতাবস্থায় আপনার অনুকূলে প্রস্তুতকৃত চেক এ কার্যালয় হতে সংগ্রহ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
এই একই চিঠি দুই শিক্ষার্থীর নামে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সুপ্ত শিখা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন দাতা সদস্য মিরোজ হোসেন বলেন, ‘এটি একটি অনন্য অর্জন। আমাদের জন্য এ বিষয়টি মাইলফলক হয়ে থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
মিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমরা সম্মানী ঘোষণার চিঠি পেয়েছি। দু’একদিনের মধ্যেই দুই শিক্ষার্থী ও তাদের বাবাকে নিয়ে আমরা ঢাকায় যাব সম্মানীর চেক আনতে। যদিও লকডাউন, তারপরও ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ঢাকায় যাতায়াতের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।’
সুপ্ত শিখা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সবুর আলী বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত। সবাই আজ মিষ্টি মুখ করেছি। একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর এই প্রতিভা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
দুই শিক্ষার্থীর বাবা আলিম খান ও সাঈদ মিয়া জানান, তাঁরা তাঁদের সন্তানের এমন অর্জনে খুবই খুশি। সবাই খুব প্রশংসা করছে। প্রধানমন্ত্রীকেও তাঁরা ধন্যবাদ জানান তাঁদের সন্তানকে এভাবে সম্মান দেওয়ার জন্য। সূত্র : আজকের পত্রিকা