শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩৯ pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, নির্বাচনে কারচুপি বন্ধে একমাত্র সমাধান ইভিএম। মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংসদে চলতি অর্থ বছরের বাজেট পাস পরবর্তী দিনের বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানে সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত সিনেট নির্বাচনসহ ১৯৭০-এর পর অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে।
তার সরকার গত দুই বছর ধরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্থারের চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের যেন ভোট কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত হওয়ার চিন্তা না করতে হয় তার সময় এসেছে।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমরা একটা ফলাফলে পৌঁছেছি। ভোট কারচুপি রোধে একমাত্র সমাধান হলো ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন)। পূর্বে পাকিস্তানের নির্বাচনে যে কারচুপি হয়েছে সেটা বন্ধ হতে পারে-ভোটের ফলাফল যদি তাৎক্ষণিক আসে।
ইমরান খান বলেন, পিটিআই সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে উদ্যোগ নিলেও বিরোধী দলগুলো এতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। বিরোধীদের সরকারের সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্থারের আলোচনায় অংশ নিতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটা পাকিস্তানের ভবিষ্যত গণতন্ত্রের বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদে তিনি বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন স্মরণ করে বলেন, আমি বক্তব্য দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিরোধীরা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে আমাকে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এমন দাবি করেছিল। কিন্তু মিডিয়া তাকে প্রমাণ দেখাতে বললে তিনি পারেননি।
ইমরান খান বলেন, পিটিআই ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর ভোট কারচুপি রোধে তৎপরতা শুরু করে। তাদের উদ্যোগের কারণেই ২০১৫ সালে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন হয়।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো বক্তব্য থাকলে তার সরকার সেটা শুনতে প্রস্তুত উল্লেখ করে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (বিরোধী দল) উদ্যোগী না হলে পাকিস্তানে ভবিষ্যৎ সিনেট নির্বাচনসহ জাতীয় নির্বাচনেও কারচুপির আশঙ্কা থাকবে। সূত্র : যুগান্তর