বুধবা, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:১৬ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে এক মৃতব্যক্তির স্ত্রীকে বিধবাভাতা পাইয়ে দেবার নামে দুই হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোঁদ ইউপি মেম্বার ও এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই ইউপি মেম্বারের নাম মুনজুর রহমান।
তিনি উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। আর ওই যুবলীগ নেতা একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন আলী। ভুক্তভোগির বাড়ি একই এলাকার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। এঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চাঁপাক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জৈনক অসহায় ও হতদরিদ্র এক নারীর স্বামী মৃত্যুর পর তিনি বিধবা কার্ড পেতে ইউপি মেম্বার ও ওয়ার্ড যুবলীগ নেতার নিকট বেশ কয়েক মাস ধর্ণা দেন। এতে ওই নারীর দারিদ্রতা ও সরলতার সুযোগে ইউপি মেম্বার মুনজুর রহমান ও যুবলীগ নেতা মিলন আলী কৌশলে দুই হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন ভাতা ভোগীদেরকে বাধ্য করে ইউপি মেম্বার নতুন মোবাইল সিম কার্ডের জন্য ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা আদায় করছেন। এরপরও ওই মেম্বার রহস্যজনক কারণে ওইসব ভাতা ভোগীরদের কার্ডে তার নিকটস্থ ব্যক্তির মোবাইল নম্বর লিখে দিয়ে হয়রানিসহ ক্ষতির মধ্য ফেলেছেন ভাতা ভোগীদেরকে। এঅবস্থায় স্থানীয়রা প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা ও মেম্বারের শাস্তির দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এবিষয়ে সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এনিয়ে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বয়স্ক ভাতাভোগী শরিফুল ইসলাম বলেন, মোবাইল ফোনে বয়স্ক ভাতার টাকা আসবে তাই নতুন নাম্বারে নগদ একাউন্ট খোলার জন্য একটি সিমের দাম ৫০০ টাকা নিয়ে একাউন্ট খুলে দিয়েছেন। কিন্তু কার্ডে ভুল নাম্বার উল্লেখ করায় বেশ কয়েক মাসেও তিনি ভাতা পাচ্ছেন না।
এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যুবলীগ নেতা মিলনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে, এবিষয়ে ইউপি মেম্বার মুনজুর রহমান বলেন, বিধবা ভাতার কোঠা পূরণ হয়ে গেছে। তাই ওই নারীকে ভিজিডি কার্ড করে দেয়া হয়। তবে, তিনি টাকা নিলেও সংশ্লিষ্ট অফিসে খরচাপাতি দিয়েছেন বলে জানান মেম্বার মুনজুর রহমান। আজকের তানোর