রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৪৯ am

সংবাদ শিরোনাম ::
কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন গোদাগাড়ীতে প্লাজমা ফাউন্ডেশনের ৯ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আমবাগান থেকে বাঘায় দিনমুজুরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার নগরীতে জেলা কৃষকলীগ সভাপতি তাজবুল ইসলামসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার নাচোলে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ১৪৮তম শাখা উদ্বোধন গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা : সাকি তানোরে আলু বীজে মহাসিন্ডিকেট, দ্বিগুন দামে দিশেহারা চাষীরা! দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিক সরকারের দাফন সম্পন্ন দুর্গাপুরে বিএনপি’র আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপিত মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
নিরাপত্তা চেয়ে রাবির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির চিঠি

নিরাপত্তা চেয়ে রাবির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সহযোগিতার জন্য আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার আড়াইটার দিকে সাংবাদিকদের কাছে বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান রুটিন দায়িত্ব পালনকারী উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মাধ্যমে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, তাঁর সহকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন। এ রকম অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ও লিখিত আবেদনও করা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেট সভা ঠেকাতে অনড় অবস্থানে রয়েছে সাবেক উপাচার্যের ‘অবৈধ নিয়োগে’ চাকরিপ্রাপ্তদের একটি অংশ। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীদের একাংশের নেতৃত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী তাঁদের কাছে গিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ কারণে বুধবার আটটার দিকে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহাও তাঁকে ফোন করে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আলোচনায় বসার জন্য আসতে বলেন। কিন্তু বেলা ১টার পর প্রক্টরের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, তিনি আলোচনায় বসবেন না। উপাচার্য তাঁদের যোগদানের বিপরীতে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ জন্য তাঁরা ফাইন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেট সভা হতে দেবেন না।

এ ব্যাপারে আনন্দ কুমার সাহা বলেন, বুধবার তিনি প্রক্টরের মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁরা আলোচনায় বসতে চান। এরপর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর দপ্তরে আলোচনার জন্য আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁরা সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করে আবার আন্দোলন করবেন, এমনটা জানার পর প্রক্টরের মাধ্যমে তাঁদের বলে দেন, নতুন করে আর কিছু বলার নেই। এই নিয়োগকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবৈধ ঘোষণা করেছে। এর সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আর সরকার জড়িত। তাঁর একার পক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, এর আগে আলোচনায় বসার নাম করে ‘অবৈধ নিয়োগে’ চাকরিপ্রাপ্তরা তাঁকে, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।

এদিকে ‘অবৈধ নিয়োগে’ চাকরিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আগামী রোববার থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার যদি কোনো ধরনের সভা করার পাঁয়তারা প্রশাসন করে, তাঁরা সভাগুলো ঠেকানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান তাঁরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে গত ৬ মে তৎকালীন উপাচার্য এম আবদুস সোবহান কর্মদিবসের শেষ দিনে ১৩৮ জনকে নিয়োগপত্র দিয়ে পুলিশি পাহারায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। সেই দিন বিকেলেই এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্ত কমিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করে ২৩ মে প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। অবৈধ নিয়োগে তদন্ত কমিটি বিদায়ী উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। আবদুস সোবহানের দেশ ত্যাগেও নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয় দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এর মধ্যেই নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যোগদানের জন্য ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন। সবশেষ গত শনিবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে পদে যোগদানের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন তাঁরা। এর ফলে শনিবার ফাইন্যান্স কমিটির সভা স্থগিত হয়ে যায়। তাঁরা সে সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, সিন্ডিকেট সভাও করতে দেবেন না।

কিন্তু গত রোববার রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপে তাঁরা রুটিন উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহার বাসভবনসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভবনের তালা খুলে দেন। পরদিন সোমবার দুপুরে স্থানীয় সাংসদ আয়েন উদ্দিন ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা আলোচনা করেন। সভা শেষে বের হয়ে চাকরিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আন্দোলন স্থগিত করেন। তাঁরা ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক কার্যক্রমে বাধা দেবেন না বলেও জানিয়েছিলেন।

তবে সিন্ডিকেট সভায় তাঁদের নিয়োগ চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হবে—এমন কিছু তাঁরা জানতে পেরেছেন বলে অভিযোগ তোলেন। এ কারণে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের একটি অংশ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। সেদিন সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিন্ডিকেট সভা রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তবুও নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা যোগদানের দাবিতে রাত ও দিনভর অবস্থান করেন। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.