নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
মুজিববর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে আজ দেশ ব্যাপী (২০-জুন) সকাল ১১ টায় গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন জাতির পিতার উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননত্রেী শেখ হাসিনা।

বক্তব্য শেষে তিনি আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে দেশজুড়ে বাস্তবায়িত এই কর্মসূচীর আওতায় রাজশাহীর তানোর উপজেলায় এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ১০৫টি পরিবার ঘর পাচ্ছে। এরআগে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫৭টি পরিবারকেও ঘর দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপকার ভোগীদরে মধ্যে যাদের জমি আছে তারা শুধু ঘর পাবে আর যাদের জমি নেই তারা ২ শতাংশ জমি পাবে (বন্দোবস্ত)। সেই সাথে পাবে দুইকক্ষ বিশিষ্ট একটি রঙ্গিন টিনের পাকা বাড়ি। এসব পাকা ঘর নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১ (এক) লাখ ৯০ হাজার টাকা। সরকারের নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে এসব ঘর। সেই সাথে রান্নাঘর সংযুক্ত টয়লটে থাকছে। পাশাপাশি থাকছে টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

আজ রোববার সকাল ১১টায় তানোর উপজেলা চত্বরে অবস্থিত অডিটোরিয়ামে এই কর্মসূচী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। এসময় উপজেলার ভূমি ও গৃহহীন ১০৫টি পরিবারের হাতে নির্মাণকৃত ঘরের জমির কাগজপত্র ও চাবি হস্তান্তর করা হয়।

ঘরের চাবি হাতে পেয়ে তানোর উপজেলার বিল্লি গ্রামের হাজেরা বেগম বলেন, কোনোদিন ভাবিনি আমার ভাগ্যে পাকা ঘর হবে। পরিবার নিয়ে এক সাথে থাকবো। সত্যিই প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আপা আমাদের মতো গরিবদের নিয়ে ভাবেন। নতুন একটি ঠিকানা পেয়ে এমনটি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। শুধু হাজেরা বেগম নয় একই কথা জানান কৃষ্ণপুর গ্রামের এরশাদ আলী। তাদের মতো এমন ঘর ও জমি পেয়ে অনেকেই বিভোর।

অনুষ্ঠানে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ, তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম।  

এছাড়াও তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার পলক কুমার দাস ও অতিরিক্ত দায়িত্বরত (নাজির) সার্টিফিকেট সহকারী শাহিনুর রহমান প্রমুখ। আজকের তানোর