বৃহস্পতিবর, ১৯ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৪৮ am

সংবাদ শিরোনাম ::
পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক বৈরী আবহাওয়ার অজুহাতে বিদ্যুতের লোডশেডিং, অসহায় মানুষ বাগমারায় সাবেক এমপি এনামুল হক গ্রেফতার বাগমারায় মোমবাতির আগুনে ব্যবসায়ীর দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই মোহনপুরে চুরির মালামাল উদ্ধার, ১২ ঘন্টা পর চোর আটক মোহনপুরে ঈদে মিলাদুননবী (সা:) পালিত রাজশাহীতে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত
রামেক হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে থানা হাজতে বাবা!

রামেক হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে থানা হাজতে বাবা!

ডেস্ক রির্পোট : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুসন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন একটি ওষুধ কোম্পানির এলাকা ব্যবস্থাপক ওমর সিদ্দিক (৩৩)। সেখানে অন্য এক সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান আনসার সদস্যদের সঙ্গে। পরে তাঁকে পাঠানো হয় নগরের রাজপাড়া থানায়।

আজ রোববার সকালে হাসপাতালের বহির্বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ওষুধ কোম্পানির কর্মীরা আনসার সদস্যদের গায়ে হাত তুলেছেন। তাই তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়েছে। আর থানাহাজতে থাকা অবস্থায় ওমর সিদ্দিক বলেছেন, আনসার সদস্যরা আগে তাঁদের গায়ে হাত তোলেন। তিনিসহ তাঁর আরও দুই সহকর্মী সেলিম রেজা (৩৩) ও সোহেল রানাকে (৩০) আটক করা হয়েছে।

সিদ্দিকের বাড়ি চারঘাট উপজেলার বরকতপুর গ্রামে। অন্য দুজনের বাড়ি ডাকরা গ্রামে। ওমরের সন্তানের বয়স সাড়ে তিন বছর। অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে তাঁকে হাজতে নেওয়ার সময় তাঁর সন্তানকে এক স্বজনের মাধ্যমে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ওমর সিদ্দিক বলেন, তাঁর বাচ্চার কানে চর্মরোগের সমস্যা। সকালে বাচ্চাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালের বহির্বিভাগের এক চিকিৎসককে দেখান। তাঁর সহকর্মী সোহেল রানাও হাসপাতালের ৩৪ নম্বর কাউন্টারে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। ছেলের চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি সোহেল রানার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে আনসার সদস্যরা তাঁকে ওই দিকে যেতে বাধা দেন। এ নিয়ে তাঁরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

একজন আনসার সদস্য তাঁর গালে একটি চড় মারেন। তখন কোলে থাকা বাচ্চাটি মাটিতে পড়ে যায়। সহকর্মী সেলিম রেজা তখন বাচ্চাটিকে মাটি থেকে টেনে তোলার পাশাপাশি চড় মারার প্রতিবাদ করলে তাঁকেও হেনস্তা করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাঁদের হাসপাতালের পরিচালকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিচালক তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পরামর্শ দেন।

থানায় গিয়ে দেখা যায়, ছেলে কোলে নিয়ে ওমর সিদ্দিক দাঁড়িয়ে আছেন। হাতে তিনটি ওষুধের বোতল। পাশে তাঁর দুই সহকর্মী। সোহেল রানাও হাসপাতালের একটি টিকিট দেখান।

সোহেল রানা বলেন, কয়েক দিন আগে টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার দেখানোর সুযোগ পাননি। তাই আজ রোববার তিনি ওই টিকিটে ৩৪ নম্বর কাউন্টারে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে এজাহার পেলে সে অনুযায়ী তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন। সুত্র : প্রথম আলো

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.