শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৪৬ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে অতিদরিদ্রদের জন্য গৃহীত ৪০ দিনের কর্মসৃজন (ইজিপি) কর্মসূচি কর্মসংস্থান সৃস্টির পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে বড় ভুমিকা রাখছে। এদিকে, এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অতিদরিদ্ররা অভাব অনটনের সময় কাজ পাচ্ছে।অন্যদিকে, এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাঁচা রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন ও সংস্কার হচ্ছে।
জানা গেছে, অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর কঠোর অবস্থানের ফলে তাঁর নিদের্শনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তারিকুল ইসলামের কঠোর নজরদারির ফলে এসব প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের (ইউপি) প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কাঁচা রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়নে রাতারাতি এসব এলাকায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা গেছে।
দেশ স্বাধীনের পরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কোনো উন্নয়ন কাজ (মাটির) পৌচ্ছেনি। এমন পরিস্থিতিতে এসব গ্রামাঞ্চলের রাস্তা-ঘাটের দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়নে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রথম ধাপে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অনুকুলে প্রায় ৩৩টি প্রকল্পের অনুকুলে এক হাজার ১০৮ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। কলমা ইউপির গোদামারী আদিবাসি পল্লীর বাসিন্দা সুরমণি হাসদা (৪০), মার্শাল টুডু (৩৫), তালন্দ ইউপির কালনা উত্তরপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম(৩৩), জসিম উদ্দিন(৪৩) ও রবিউল ইসলাম (৩২) বলেন, তাদের গ্রামে যাতায়াতের রাস্তা হবে এটা তারা কখনও কল্পনাও করেননি।
কিন্তু এবার তাদের গ্রামের যাতায়াতের জন্য মোয়াতলা ব্রীজ দিয়ে মাটির রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। পাঁচন্দর ইউপির চিমনা গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম (৪৫) বলেন, দীর্ঘদিন পরে তাদের গ্রামের মাটির রাস্তা সংস্কার ও কবরস্থানে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছে। বাধাইড় ইউপির জোকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান (৫৪) বলেন, এবার তাদের গ্রামের রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করায় গ্রামবাসির দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম বলেন, এবার এমপি মহোদয়ের কঠোর নির্দেশ ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের দেখভাল করায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কাজে কোনো অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিতে পারছেনা। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ হচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, এবার কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এমপি মহোদয়ের নির্দেশে প্রতিটি প্রকল্পে কঠোর নজরদারি করায় গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন চলমান রয়েছে।
উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও বাধাঁইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, এবারের কর্মসৃজন কর্মসূচি কাজে অনিমের কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে তাদের এলাকায় গ্রামীণ অবকাঠামোর দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি অতিদরিদ্র কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের সূযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানও বেড়েছে। আজকের তানোর