শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৪৪ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার পর গত তিনদিন ধরে জেলার তানোর উপজেলার প্রবেশ মুখগুলোতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে থানা পুলিশ। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি সেবা খাত ছাড়া কাউকেই তানোরে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেয়া হচ্ছে না। সরেজমিন তানোরের তিনটি প্রধান প্রবেশমুখ ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া হাড়দো বিল চেকপোস্টে সকালে নানা অজুহাতে তানোরে প্রবেশ এবং তানোরে বাইরে যাওয়া লোকজনকে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। তারা একপর্যায়ে হেঁটে চেকপোস্ট পার হতে চেষ্টাকারীদেরও বাঁধা দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য। কোনো কোনো যানবাহন কয়েক ঘণ্টার জন্য আটকে রাখা হয়। আবার কোনো কোনো যানবাহন ফিরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও তানোরের উত্তর পশ্চিম সিমান্ত পথ চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার আমনূরা ধামধুম নামক স্থানে প্রবেশ পথে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ওই পথে মুন্ডুমালা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সকল প্রকার যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। কোন অবস্থায় কেউ স্বাভাবিক ভাবে এবার থেকে ওপারে যেতে পারছে না।
দেখা গেছে, তানোর থেকে যেসব মালবাহী ট্রাক ত্রিপল দিয়ে মোড়ানো, সেসব ট্রাকের ত্রিপলের ওপর দিয়ে লোকজনকে হাঁটিয়ে পুলিশ চেক করছে, এসব ট্রাকে মালামালের নামে কোনো লোক পরিবহন করা হচ্ছে কিনা। জরুরি প্রয়োজনে যারা রাজশাহী বা আশপাশের কোথাও যাচ্ছিলেন তাদের আইডি কার্ড দেখে পুলিশ যেতে দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিনা প্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার জন্য তানোরবাসীকে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আবারও অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান। ওসি জানান, অবাধে যাতায়াত রোধে উপজেলার প্রবেশপথে টহল জোরদার করা হয়েছে। যা নিদের্শনা অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে।
গত ৬ জুন রোববার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা সংক্রান্ত জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সবকিছু বিবেচনা করে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজশাহীতে বিধি-নিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পূর্বের সন্ধ্যা ৭টার পরিবর্ততে বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, দোকান সহ সব কিছু বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে থ্রি-হুইলার সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও রাজশাহীর পাশ্ববর্তী গোদাগাড়ী, তানোর ও মোহনপুর থানা এলাকার ভেতর দিয়ে শহরে মানুষ না প্রবেশ করতে পারে, সে জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। আগামী ৩ থেকে ৫ দিন প্রতিদিনই করোনা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে। যদি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়তে থাকে তাহলে ১৪ দিনের জন্য কঠোর থেকে কঠোরমত লকডাউন ঘোষণা করা হবে। আজকের তানোর