শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৩২ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান ক্রয় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ধানের বর্তমান বাজারদর ও গুদামে ধান ক্রয়ের সরকার নির্ধারিত দাম প্রায় সমান। এমন পরিস্থিতিতে গুদামে ধান বিক্রি করে তেমন লাভ থাকবে না। এ কারণে গুদামে ধান বিক্রি করতে কৃষকের আগ্রহ কম।
কৃষকরা জানান, গুদামে ধান নিয়ে গেলে আর্দ্র্রতার কথা বলে প্রতি মণে এক-দুই কেজি করে বেশি ধান নেওয়া হয়। ভেজা বলে অনেক সময় ধান ফেরতও দেওয়া হয়। ধান বিক্রি করে টাকার জন্য ঘুরতে হয় বেশ কয়েক দিন। সঙ্গে গাড়িভাড়া ও শ্রমিক খরচ লাগে। এ ছাড়া খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাত দেখায়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্র জানায়, এ উপজেলায় গোল্লাপাড়া ও কাঁমারগা খাদ্যগুদাম মিলিয়ে ১ হাজার ৮৪৮ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। গত ১০ মে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে এবং তা ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন কৃষক গুদামে ১৭২ মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেছে।
উপজেলার হরিপুর গ্রামের কৃষক তাজমুল ইসলাম তাজ বলেন, সরকারিভাবে ধানের দাম কম হওয়ায় গ্রামে বিক্রি করেছি বেশি দামে। গাড়ি ভাড়া দিয়ে গুদামে ধান নিলে লোকসান হয়। সেখানে নানা টালবাহানা করে। টাকা তুলতে ব্যাংকে ঘুরতে হয়। নানা হয়রানি ও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। এ কারণে গুদামে ধান বিক্রি করছি না।
চাপড়া গ্রামের কৃষক আজগর আলী জানান, ধান নিয়ে গেলে গুদামের লোকজন মেশিন দিয়ে মেপে বলে- তোমার ধান ভেজা আছে। বিক্রি করতে হলে মণে কয়েক কেজি দিতে হবে, না হলে শুকিয়ে নিয়ে এসো। গুদামে ধান দিতে খুবই ঝামেলা হয়। কিন্তু স্থানীয় বাজারে কোনো ঝামেলা নেই।
উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম বলেন, ধানের সরকারি মূল্য মণ প্রতি ১০৮০ টাকা। অথচ বাজারে মোটা ধান এক হাজার টাকা ও চিকন ধান ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গুদামে চিটা ধান বা কম শুকনা ধান দেওয়ার সুযোগ নেই। এ জন্য কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (অতিঃ দাঃ) মোহাম্মদ আলী বলেন, সরকারিভাবে যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় বাজারেও সেই দামে ধান বেচাকেনা হচ্ছে। যে কারণে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে নির্বাচিত কৃষকরা আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আজকের তানোর