রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৩ pm
ডেস্ক রির্পোট : বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশের গণতন্ত্রও এখন কারাবন্দি। এমন মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১ জুন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর সবাই ভেবেছিলো বিএনপি শেষ হয়ে যাবে। বিএনপিকে আর দেখা যাবে না, কারণ তার আসল নেতাই চলে গেছে। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া পতাকা তুলে ধরেছেন। তার অবদান কারও চেয়ে খাটো নয়। এখন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, হাসপাতালে। এই সরকার কতটা প্রতিহিংসাপরায়ন। তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। দেশনেত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, বাইরে নিয়ে যাও, তারা বাইরে যেতে দিতে চায় না। এটা হচ্ছে তাদের দুর্বলতা। রাজনীতিতে তাদের দেউলিয়াপনা, জনগণের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার প্রমাণ।
তিনি আরো বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখনো কারাগারে। তিনি কারাগারে বলেই দেশের গণতন্ত্র এখন কারাগারে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে, আমাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা, ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা। তারপরও কিন্তু বিএনপিকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিএনপি আছে, চলছে, অত্যন্ত সোচ্চার হয়েই আছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, কখনো পিছনের দিকে তাকাবেন না। কখনো মনে করবেন না যে, আমরা পারবো না। আমরাই পারবো, অবশ্যই আমরা জয়ী হব। যে দানব আমাদের সব অধিকারগুলোকে হরণ করে নিয়েছে, যে দানব লুণ্ঠনের মধ্যে দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই দানবকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে।
এসময় আন্দোলন, আন্দোলন এবং শুধু আন্দোলনকেই মুক্তির একমাত্র উপায় বলে জানান দলটির নেতাকর্মীরা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় কঠোর কর্মসূচির আকুতিও ছিলো অনেকের বক্তব্যে। আর সত্যিকার অর্থে জিয়ার আদর্শকে ধারণ করার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। ক্ষমতাসীন দলের পতনে সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান তারা। শওকত মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি বিএনপি মহাসচিবের কণ্ঠেও ছিলো আন্দোলনের ডাক। আজকের তানোর