শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৩২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীর একটি মিষ্টির দোকানে দই নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। অভিযোগকারী প্রকৌশলী এ কে এম খাদেমুল ইসলাম রাজশাহী আনসার ব্যাটালিয়ান ক্যাডারের পরিচালক ছিলেন।
নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন রানীনগরের বাসিন্দা তিনি। এছাড়া তিনি বর্তমানে কনজুমার অ্যাসাসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) একজন স্বেচ্ছাসেবী উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। সোমবার (২৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে সেই লিখিত অভিযোগের শুনানি ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুনানিতে রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারে দইয়ের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ও সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য না থাকায় এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এসময় অভিযোগকারী এ কে এম খাদেমুল ইসলাম ও রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারের ম্যানেজার অনিক কুমার সরকার উভয় পক্ষই উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে ভোক্ত অধিকার কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ বলেন, ‘প্রকৌশলী এ কে এম খাদেমুল ইসলাম ১১ মে’র দিকে রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারের দই নিয়ে একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৭ ও ৪৬ ধারায় অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারকে আজ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভোক্তা আইন অনুযায়ী জরিমানার ২৫% টাকা অর্থাৎ পাঁচ হাজার টাকা অভিযোগকারীকে প্রদান করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিকের পক্ষ থেকে একটি মুচলেকা নেয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিন তাদের দই বিক্রি বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ তারা যতক্ষণ পর্যন্ত না দইয়ের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ও সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য সম্পর্কিত বিষয়টি পুরোপুরিভাবে সমাধান করতে পারছেন, ঠিক ততদিন পর্যন্ত তারা কোনো প্রকার দই বিক্রি করবেন না বলে মুচলেকায় জানিয়েছেন।’ আজকের তানোর