শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:২২ pm
আর কে রতন :
তপ্ত রোদে মানুষ যখন বাইরে যেতে ভয় পান কিংবা একটু শীতল ঠান্ডা ছায়ায় অথবা নিজ ঘরে বসে বিশ্রাম নেন। ঠিক তখনই একদল নারী শ্রমিককে খালি পায়ে ইট-পাথরের তৈরী চাতালে ধান শুকাতে ব্যস্ত দেখা যায়। এরা হলেন চাতাল শ্রমিক।
প্রচন্ড রোদ মাথায় নিয়ে দিনভর শ্রম দিয়ে ধান থেকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাল প্রস্তত করছেন এই শ্রমিকরা। দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যা আয়-রোজগার হয়, তা দিয়েই কোন মতে কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবিকা চালানের চেষ্টা করছেন তারা। রাজশাহী জেলায় প্রায় শতাধিক ধান চাতাল রয়েছে। প্র্রত্যেক চাতালে ৫ থেকে ১০ জন পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করে থাকেন।
রাজশাহীর মোহনপুর সদর উপজেলার গ্রামের চাতাল শ্রমিক নুরবানু জানান, দিন-রাত কঠোর পরিশ্রমে ঘাম ঝরে শরীর থেকে। ভিজে যায় পরনের বস্ত্র। আচঁল দিয়ে বার বার মুখ মুছেতে হয়। শরীরের ঘাম শরীরে মিলে যায়। ক্লান্ত শ্রান্ত তবুও ধান শুকাতে ব্যস্ত চাতাল শ্রমিকরা। কখনো কখনো শরীর জিরাতে চলে যাই গাছতলায়। এতো শ্রম দিয়ে দিন শেষে আসে তিন-চারশো টাকা, তা দিয়ে কোন মতে পরিবার পরিজন নিয়ে দু’মুঠো অন্ন মুখে আসে।
জেলার পবা উপজেলার নওহাটা এলাকার চাতাল শ্রমিক আসাদ আলী জানান, চাতাল শ্রমিকদের আসতে হয় ভোরবেলা। বাড়িতে ফিরতে হয় রাত ৯টা বা ১০টার দিকে। ভোরে ধান সিদ্ধ করা আর সকাল থেকে ধান শুকানো আবার সন্ধ্যায় ধান ঘরে তোলা ও মাপযোগ করার কাজ করতে হয়।
বাগমারা উপজেলার চাতাল মালিক বাচ্চুু জানান, আসলে চাতালে সবাই কাজ করতে পারে না। এখানে কাজ করতে অনেক ধোর্য্যরে প্রয়োজন। কারণ চাতালে একটু শ্রম বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু প্রায় সারা বছর কাজ হয়ে থাকে। ফলে শ্রমিকদের পুঁশিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমরা যারা চাতাল মালিক আছি তারা সবাই শ্রমিকদের কাজের সঠিক মুজুরী দিয়ে থাকি। কারণ শ্রমিক ছাড়া তো আমাদের চাতাল চালানো সম্ভব নয়। আজকের তানোর