শুক্রবার, ০৪ অক্টোব ২০২৪, সময় : ০৫:৪৮ am
আকতার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত মুন্ডুমালা পৌরসভা। এই পৌরসভা নির্বাচনে হাইকান্ডের নির্দেশে তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি সংগ্রামী জননেতা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না নৌকা প্রার্থীর পক্ষে আজ (১২ জানুয়ারী) সারাদিন ব্যাপি বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এতে সর্বস্তরের জনগণ স্বপ্রনোদিত হয়ে লিফলেট প্রদানে চেয়ারম্যানকে সারা জাগিয়েছেন। ফলে নতুন করে নৌকায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ জানুয়ারী এই পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে মেয়রপদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন। এরমধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর ও বর্তমান প্যানেল মেয়র পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমীন, বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যমত সদস্য ফিরোজ কবির ও পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
ভোটারা বলছেন, এবারের নির্বাচনে মেয়রপদে আ’লীগের যোগ্য জনবান্ধব প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এমন কর্মী-জনবান্ধব পরিচ্ছন্ন ও ইমেজ সম্পন্ন ব্যক্তিকে তারা মেয়র দেখতে চাই। এজন্য দলের হাইকমান্ড, স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও ময়না চেয়ারম্যানকে সাদুবাদ জানান।
এনিয়ে ওই এলাকার সাধারণ ভোটার ব্যবসায়ী আফসার আলী বলেন, তানোরের শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত মুন্ডুমালা। এখানকার জনগণ উন্নয়ন শিক্ষায় বিশ্বাস করে। তাই ক্ষমতাসীন দলের মেয়রপ্রার্থীকে সব সময় ভোট দেয় জনগণ। ফলে পৌরসভা গঠনের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র অধিষ্ঠ।
উদারণ সরুপ তিনি মনে করে দেন অতীতের ইতিহাস। বলেন, তৎকালিন সময়ে বিএনপির প্রার্থী মরহুম শিশ মোহাম্মদ মেয়র নির্বাচিত হয়। যদিও তিনি স্থানীয় নন। এরপরও জনগণ দেখেছেন সরকার দলীয় মেয়রপ্রার্থীকে। পরে সরকারের পালা বদল হলে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। পৌরসভায় উন্নয়ন স্বার্থে জনগণ বিএনপিকে সারিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম রাব্বানীকে মেয়র নির্বাচিত করেন।
মেয়রপ্রার্থী আমির হোসেন আমীন বলেন, মুন্ডুমালা পৌরসভার নাগরিকরা ভুল করতে শেখেননি। আগামীতেও ভুল নয়, ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগ দলের মনোনীত মেয়রপ্রার্থীকে ভোট দেবেন জনগণ। এখানে উন্নয়নের স্বার্থে এবারও পাল্টে গেছে ভোটের মাঠের দৃশ্যপট। বদলে গেছে জনগণের মনবল।