শাহিন সাগর, নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। তাকে নিপীড়নের নিন্দা ও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সারা দেশ। তারই ধারাবাহিকতায় ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মামলার কারণে রাজশাহী জেলা বিএমএসএফ আজ বৃহস্পতিবার (২০মে) মহানগরীর আলুপট্রি মোড়ে বেলা ১১টায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিএমএসএফ রাজশাহী জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি ফয়সাল আহাম্মেদের সঞ্চালনায় সভাপতি ছিলেন বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা সভাপতি এশিয়ান টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আবু কাওসার মাখন।
সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, বিএমএসএফ রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদক আনন্দ টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধি সামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি দৈনিক সকালের সময় ব্যুরো প্রধান শাহিনুর রহমান সোনা, সাংগঠনিক সম্পাদক, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশন সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকারকর্মী সাগর নোমানী, দপ্তর সম্পাদক ও স্বদেশ প্রতিদিন জেলা প্রতিনিধি আল আমিন হোসেন, অর্থ সম্পাদক ও মুভি বাংলা টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধি রায়হান ইসলাম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দৈনিক রাজশাহী প্রতিনিধি সোমেন মন্ডল, বিএমএসএফ সদস্য, ডেইলি ইনড্রাসট্রি জেলা প্রতিনিধি মানবাধিকার কর্মী শাহীন সাগর, ৭১ বাংলা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল খালেক। এসময় বক্তারা রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাঁকে হেনস্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এসময় সাংবাদিক নেতারা ‘দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার এবং তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান। নেতারা মনে করেন যে, কিছুসংখ্যক অসৎ আমলার ব্যক্তিগত দুর্নীতির অপরাধকে ধামাচাপা দিতেই অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছে। ‘রোজিনা ইসলামের সঙ্গে যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে, তা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য অনেক বড় হুমকি।
কিন্তু সাংবাদিক সমাজকে এভাবে সত্য প্রকাশে বিরত রাখা যাবে না। এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার সাথে জড়িতদের শুধু বদলী করলেই চলবেনা। ‘আমরা মনে করি খুবই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গণমাধ্যমকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের এই সরকারকে ক্ষমতায়ন করার পেছনে সাংবাদিক সমাজেরও অনেক বড় অবদান রয়েছে। কিন্তু আজ একশ্রেণির আমলারা নিজেদের স্বার্থে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্থার মূল হোতা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা’র সম্পদের হিসাব দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্ত করা হোক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে ছয়জনকে বদলি করা হয়েছে তাদের বদলি নয় চাকরিচ্যুতি চাই আমরা। অবিলম্বে সাংবাদিক রোজিনার নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন তারা। এছাড়াও সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্থার মূল হোতা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা’র সম্পদের হিসাব দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।
প্রতিবাদ সভায় আরো যে সকল সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন, তারা হলেন সাংবাদিক সানোয়ার আরিফ, রায়হান রোহান, ফয়সাল হোসেন, তাসফিন আহমেদ, রায়হান ইসলাম রনি, নাইম হাসান, আদিল হোসেন, পাভেল ইসলাম মিমুল, সামিউল ইসলাম, মো: মানিক , আক্তার হোসেন হীরা, জহুরুল ইসলাম , এফডিআর ফয়সাল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, ফয়সাল হোসেন, মানবাধিকার কর্মী সাবেক কাউন্সিলর ফারজানা হক, মোহনপুর উপজেলা ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ আঃ আজিজসহ রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের একাংশ । আজকের তানোর