শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১৪ pm
ডেস্ক রির্পোট : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা দুর্নীতির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এখন নিজেরাই একে অপরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘কথিত ওয়ান ইলেভেনের অনিয়মতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সরকারের কাণ্ডজ্ঞানহীনতার কারণে গত একযুগ ধরে জনগণের ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের ন্যায় একটা সরকার চেপে বসেছে। যাদের নীতি গুম, খুন, অপহরণ, অবিচার, অনাচার, লুটপাট, টাকা পাচার আর দুর্নীতি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বর্তমানে এতটাই বিপর্যয়কর অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার হরণকারী নিশিরাতের এই সরকারের নেতা-মন্ত্রী-এমপি-মেয়ররা দুর্নীতির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এখন নিজেরাই একে অপরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সরকারের মহা দুর্নীতির মহাসাগর থেকে ছিটেফোঁটা চিত্র দু-একজন নেতার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ঢাকা সিটি দক্ষিণের মেয়রের পদ দখল করেছিলেন সাঈদ খোকন। সাঈদ খোকনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিশিরাতের এমপি পদ ছেড়ে কোন মধুর লোভে মধুমতি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফজলে নূর তাপস মেয়র পদ দখল করেছেন সেই মধুভাণ্ডারের কাহিনী এখন আরব্য রজনীর গল্পের মতো মনে হলেও সেটিই বাস্তবে ঘটেছে। সাঈদ খোকন বলছেন, মেয়র তাপস শত শত কোটি টাকা লুট করছেন অপরদিকে মেয়র তাপস বলছেন, শত শত কোটি টাকা লুট করেছেন সাঈদ খোকন।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘দুই জনই রাজপথে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে একে অপরের দুর্নীতি, লুটপাটের ফিরিস্তি দিচ্ছেন। তবে এটি স্পষ্ট দুজনই লুটেরা, দুজনই দুর্নীতিবাজ। এখন দুদক কী করবেন? তামাশা দেখবেন, না পদক্ষেপ নেবেন। দুদক পদক্ষেপ নিতে পারবে না, কারণ দু’জনই ক্ষমতাশালী ও শীর্ষ নেতৃত্বের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন। সুতরাং শেখ হাসিনার দুদক এদের বিরুদ্ধে এক পা-ও অগ্রসর হতে পারবে না। কারণ বিএনপি নিধনের জন্যই দুদককে সাজিয়েছে শেখ হাসিনা। জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করে, জনগণের বিরুদ্ধে ইউনিফর্ম পরা সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে আর বেশিদিন মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখা যাবে না। কথায় বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।’