শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:১৩ pm
ডেস্ক রির্পোট : বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে দেড়শ চিত্রা হরিণ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব হরিণের দাম প্রতিজোড়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায়, মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৩শর বেশি চিত্রা হরিণ রয়েছে। তবে এখানে চিত্রা হরিণের যে শেড রয়েছে, সেখানে ১৫০টি হরিণ থাকার মতো জায়গা রয়েছে। তাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত হরিণ বিক্রি করতে ইচ্ছুক।
চিড়িয়াখানা থেকে হরিণ কেনার প্রক্রিয়া কী জানতে চাইলে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, একজোড়া হরিণ, একটি পুরুষ এবং একটি মেয়ে হরিণের সরকার নির্ধারিত দাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কেউ যদি হরিণ কিনতে চায় তাহলে আমার কাছে আবেদন করতে হবে।
‘আবেদনে লিখতে হবে, আমি হরিণ কিনতে চাই, আপনাদের কাছে বিক্রি করার মতো হরিণ আছে কিনা। আমি তখন সেই আবেদনে লিখে দেবো হ্যাঁ বিক্রি করার মতো হরিণ আমাদের চিড়িয়াখানায় রয়েছে। তখন সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বন বিভাগ থেকে ক্রেতাকে একটা সার্টিফিকেট দেবে, তার হরিণ পালনের সক্ষমতা রয়েছে। বন বিভাগের সেই সার্টিফিকেট দেখে তার কাছে আমরা হরিণ বিক্রি করবো। এখন লকডাউন চলাকালীন যে কেউ অনলাইনেও আমার বরাবর আবেদন করতে পারবে। ’
তিনি বলেন, করোনাকালীন ভালো খাবার-দাবার এবং দর্শনার্থী না থাকায় ভালো পরিবেশ পাওয়ায় হরিণের প্রজনন ক্ষমতা বেড়ে গেছে। এছাড়াও চিড়িয়াখানায় হরিণের মৃত্যুহার নেই বললেই চলে। বনে যেমন ১০টা হরিণের বাচ্চা জন্ম হলে ৮টি মারা যায়, বা অন্য প্রাণী খেয়ে ফেলে, কিন্তু আমাদের এখানে ১০টি জন্মালে ১০টিই বড় হয়ে যায়। প্রতি সপ্তাহেই এখানে চিত্রা হরিণের তিন চারটা বাচ্চার জন্ম হয়।
‘ফলে আমাদের এখানে বর্তমানে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত হরিণ রয়েছে। মানুষ ভাবে আমাদের এই চিড়িয়াখানা হরিণের খামার হয়ে গেছে, কিন্তু চিড়িয়াখানাতো খামার নয়, এটা একটা প্রদর্শনী কেন্দ্র। সুতরাং আমাদের চিড়িয়াখানার খাবারের বাজেট, লোকবল, স্থান সবকিছু মিলে সংকুলান হচ্ছে না। সুতরাং, এই অতিরিক্ত হরিণগুলোই আমরা বিক্রি করতে চাই। আজকের তানোর