শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:০৪ am
ডেস্ক রির্পোট : আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে গেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। রোজিনার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও তাঁর দ্রুত মুক্তি দাবি করেন তিনি। রোজিনাকে হেনস্তাকারী অতিরিক্ত সচিবসহ জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ড. কামাল হোসেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব এক বিবৃতিতে বলেছেন, রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবেদন করেছেন। এতে জনস্বার্থ সুরক্ষিত হয়েছে এবং স্বাস্থ্য খাতে সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্রের কর্তব্য রোজিনা ইসলামকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত করা, গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা নয়। রোজিনা ইসলামের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা এক নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
রোজিনা ইসলামের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার সবার কণ্ঠ রোধ করতে চায়। তারা জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহির প্রয়োজন মনে করে না। সাংবাদিকদের ওপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকার এবং সরকারদলীয় ক্যাডারদের নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই সামনে আসছে। তিনি রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি করেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, দপ্তর সম্পাদক বরুণ ভৌমিক নয়ন, নির্বাহী সদস্য শেখ মামুনুর রশীদ, খায়রুজ্জামান কামাল ও সেবিকা রানী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, স্বাস্থ্যসচিবের পিএসের রুমে রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। এটা আইনের লঙ্ঘন। নেতারা বলেন, রোজিনার প্রতি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আচরণে ব্যক্তিগত আক্রোশ প্রকাশ পেয়েছে।
বিএফইউজে নেতারা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করলেও মন্ত্রণালয়ের কর্তারা তাতে কর্ণপাত করেনি। রোজিনার ইসলামের মুক্তি এবং নির্যাতনকারীদের বিচার দাবি করে বিএফইউজে নেতারা বলেছেন, দাবি মানা না হলে সারা দেশে কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে আইন, আদালত, সংবিধান ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)। এ ছাড়া কর্মজীবী নারী এক বিবৃতিতে দিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছে। তথ্যসূত্র : প্রথমআলো