শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:১৫ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে উপমহাদেশে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারত। দেশটিতে রোজ লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মারা যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এরইমধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন। এই ভাইরাস বেশি প্রাণঘাতী এবং অধিক সংক্রামক। এটি প্রতিরোধে করোনার টিকা কতটা কার্যকর?
করোনার বি.১.৬১৭ ধরনটি গত অক্টোবরে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর এরই মধ্যে ৪৪টি দেশে তা পাওয়া গেছে। করোনার এই ধরনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারত। গত তিন সপ্তাহ ধরে দেশটিতে প্রতিদিন তিন লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। শুক্রবারও ৩ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশতিতে ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নতুন এই ধরন ছড়িয়ে পড়ায় মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনার ভারতীয় ধরনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়ানো করোনার ভারতীয় ধরন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তথ্য দিয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
ভারতীয় এই গণমাধ্যম বলছে, ভারতে আক্রান্তদের প্রায় শূন্য দশমিক ১ শতাংশের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনার বি.১.১৭ ধরন এবং ভারতীয় ধরন বি.১.৬১৭ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ‘কমতে শুরু করেছে’। তবে উদ্বেগজনকভাবে ভারতীয় ধরনের আরও বিপজ্জনক রূপান্তর ঘটেছে- বি.১.৬১৭.১ এবং বি.১.৬১৭.২।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে করোনার বি.১.৬১৭.১ এবং বি ১.৬১৭.২ ধরনের উচ্চ বৃদ্ধির হার এর অধিক সংক্রমণের বিষয়টিকে বোঝায়।
অনেক দেশেই এর দ্রুত বৃদ্ধি দেখা গেছে। বাংলাদেশে এই ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই ধরনের ওপর টিকার কার্যকারিতার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কিছু গবেষণায় মডার্না ও ফাইজারের টিকার কিছুটা কার্যকারিতা দেখা গেছে। সূত্র : যুগান্তর।