শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩৯ pm
স্বাধীনতা ৫০ বছর চলে গেলেও আমরা হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ পাইনি। পাইনি নিরাপত্তা-নিশ্চয়তা কোনস্তরে। এমনটি আকাশ-সড়ক- রেল ও পথেও নিরাপদ নই আমরা।
২০২০ সালে যেমন সাধারণ ছুটির মধ্যেও চলেছে বিভিন্ন ধরণের পরিবহন, ২০২১ সালে লকডাউন নামক কষ্ট-যন্ত্রণা-প্রতারণা-নীতিহীনতার কারণে নির্মম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলছে একের পর এক। হতাহতের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে কিছুটা নিহতর ঘটনা। গত ৪ মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২২৭৮টি। নিহত হয়েছেন ৮১৩ জন, আহত ২০৯৮।
বাংলাদেশে সড়ক ও নৌপথে এই করোনা পরিস্থিতিতেও ঘটে চলেছে একের পর এক দুর্ঘটনা। নৌপথে নৌপুলিশ-প্রশাসনের টুপাইস কামানোর অপচেষ্টায় আমরা হারিয়েছি ২৬ জন মানুষকে। এই ২৬ জনের মধ্যে ছিলো আমার কাছের একজন স্বজনও। মো. মনির চাপরাশির মত বাকি ২৬ জনও বিশেষ প্রয়োজনে যাচ্ছিলেন নিজের বাড়ির পথে।
কিন্তু কেন এই নিষেধযাত্রা? কারণ একটাই লকডাউন দিক অথবা অন্য কোন কৌশলে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ, সেই প্রক্রিয়ায় আমজনতার রুটি-রুজী-জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করা প্রয়োজন ছিলো সবার আগে, যা করতে ব্যর্থ হওয়ায় অন্ধকারে হারিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
এর আগেও বলেছি, মূলত ১০ কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। এগুলোর হচ্ছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
যানবাহনের চাপায়-ধাক্কায় পথচারী নিহতের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হারও উদ্বেগজনক পর্যায়ে। সড়কে নিরাপদ চলাচলের বিষয়ে অজ্ঞতা, অবহেলা ও ট্রাফিক আইনের প্রয়োগহীনতা এর প্রধান কারণ। মোটরসাইকেল ক্রয় ও চালানোর ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ এবং নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করতে না পারলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার চিত্র আরও ভয়াবহ হবে।
আতঙ্কজনক এমন প্রেক্ষাপটেও সরকার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি কমানো এবং সিসি বা অশ্বশক্তি সীমা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বৃদ্ধি করবে। সড়কপথ দুর্ঘটনায় অসংখ্য পরিবার তার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির নিহত বা পঙ্গুত্বের মধ্য দিয়ে পথে বসছে, হারিয়ে যাচ্ছে সামাজিক অর্থনীতির মূল গ্রোত থেকে।
ফলে দেশে আর্থ-সামাজিক সংকট বাড়ছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এর বিধান থাকলেও কোনো সময় এটি কার্যকর ছিল না, বর্তমানেও নেই। সেজন্য কেউ ক্ষতিপূরণ পান না। অথচ অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে সড়ক পরিবহন খাতে বিদ্যমান নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে, যার দায় রাষ্ট্রের। কিন্তু রাষ্ট্র কোনোপ্রকার দায় নিচ্ছে না।
বিষয়টি অমানবিক! সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সরকারের পক্ষ থেকে বারবার কমিটি গঠন ও সুপারিশমালা তৈরি করা হলেও আদতে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। কারণ পুরো খাতটি রাজনৈতিক চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
এক মাস আগে ফিরে গেলে দেখা যায়- দুর্ঘটনায় মোট নিহতের মধ্যে মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ১৪৭ জন, বাসযাত্রী ৩০ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলিযাত্রী ৫১ জন, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকারের যাত্রী ৫০ জন, থ্রি-হুইলারের যাত্রী (সিএনজি-ইজিবাইক-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পো-মিশুক) ৮১ জন, নসিমন-ভটভটি-মাহেন্দ্র-লাটাহাম্বা ও বাইসাইকেলের আরোহী ১৮ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৯১টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪২টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৩৪টি পথচারীকে চাপা-ধাক্কা দেওয়া, ২৯টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৩টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী-ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২৭.৫৪ শতাংশ, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ৬.১৩ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার ৪.০৪ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১১.০৭ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২১.৫৫ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-টেম্পো-মিশুক) ১৭.৫১ শতাংশ, নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা ৮.৯৮ শতাংশ এবং অন্যান্য (মাটিকাটা ট্রাক্টর-ড্রাম ট্রাক-লাটাহাম্বা-তেলবাহী লরি-পাওয়ারটিলার-কন্টেইনার-কোস্টার-ঠেসার) ৩.৫৯ শতাংশ। মার্চ মাসে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত যানবাহনের সংখ্যা ৬৬৮টি। ট্রাক ১২৬টি, বাস ৭৪টি, কাভার্ডভ্যান ২১টি, পিকআপ ৩৭টি, লরি পাঁচটি, ট্রলি ২০টি, ট্রাক্টর ১৬টি, তেলবাহী লরি তিনটি, কন্টেইনার দুটি, ড্রাম ট্রাক তিনটি, মাইক্রোবাস ১৫টি, প্রাইভেটকার ১৭টি, মোটরসাইকেল ১৪৪টি, ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-টেম্পো-মিশুক ১১৭টি, নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-ঠেসার ৪৭টি, বাই-সাইকেল পাঁচটি, প্যাডেল রিকশা নয়টি, লাটাহাম্বা তিনটি ও পাওয়াটিলার চারটি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ছয়জন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ১৩ জন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নারী প্রকৌশলী একজন, উপজেলা কার্যালয়ের অফিস সহকারী একজন, উপজেলা স্বাস্থ্য উপ-সহকারী দুজন, আইনজীবী তিনজন, যন্ত্রসংগীত শিল্পী দুজন, স্থানীয় সাংবাদিক চারজন, সংবাদপত্র এজেন্ট একজন, ব্যাংক কর্মকর্তা চারজন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ১১ জন, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ২৩ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ৪৭ জন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী দুজন, পোশাকশ্রমিক সাতজন, ইটভাটার শ্রমিক চারজন, কৃষিশ্রমিক পাঁচজন, রাজমিস্ত্রি একজন, টোলআদায়কারী একজন, ফুটপাতের হকার একজন, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী চারজন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি একজন, ইউপি চেয়ারম্যান একজনসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ১১ জন এবং দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭২ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করা, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করা, পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা এবং গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা প্রয়োজন। লকডাউনের আগে এপ্রিল মাসে দেশে ৩৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫২ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন ৫১৯ জন। গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১৪৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৮ জন। যা মোট নিহতের প্রায় ৩৫ শতাংশ। যা আগের মাস মার্চের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। মোটরসাইকেল ক্রয় এবং চালনার ক্ষেত্রে নিয়মিত মনিটরিং ও ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে না পারলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার চিত্র আরও ভয়াবহ হতে পারে। এছাড়াও এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন।
যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন। দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে নারী ৫৪ জন ও শিশু ৪৭ জন। এই সময়ে দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৩৬৪ জন, অর্থাৎ ৮০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এপ্রিলে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪২ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন এবং ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন পাঁচ জন। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে।
২০টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ২৬টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম পঞ্চগড় জেলায়। ২টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৫৬টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৩৭টি আঞ্চলিক সড়কে এবং ৬৬টি গ্রামীণ সড়কে হয়েছে। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১০৮টি। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ৩১.৬৬ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৮.৫৯ শতাংশ এবং থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-মিশুক-স্কুটার) ১৫.৯৩ শতাংশ। দুর্ঘটনাগুলোর বেশিরভাগ ঘটেছে সকালে। এসময় ৩১ শতাংশের বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুরে প্রায় ২২ শতাংশ এবং বিকালে ১৭ শতাংশের কিছু বেশি।
দুর্ঘটনা এড়াতে তৈরি হতে হবে আপনাকে-আমাকে-আমাদেরকে। পাশাপাশি সারা দেশে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে বলে আমি মনে করি।
একটু অতিতে ফিরে যেতে চাই ২০২০ সালে। সেই দুঃসময়ের বছরে দেশে চার হাজার ৭৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজার ৪৩১ জন নিহত এবং সাত হাজার ৩৭৯ জন আহত হয়েছেন বলে দেশের একমাত্র আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ নিরাপদ এবং যাত্রী-মালিক-শ্রমিক অধিকার রক্ষা বিষয়ক একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড জানিয়েছে। সেভ দ্য রোড মহাসচিব শান্তা ফারজানা লিখিত প্রতিবেদন পাঠ আয়োজনে বলেছিলেন, নিহত পাঁচ হাজার ৪৩১ জনের মধ্যে ৮৭১ জন নারী ও ৬৪৯ জন শিশু।
অতিত গণমাধ্যম বলছে- গত বছর এক হাজার ৩৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক হাজার ৪৬৩ জন নিহত হয়েছেন। যা মোট নিহতের ২৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ২৯ দশমিক ১০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় এক হাজার ৫১২ জন পথচারী নিহত হয়েছে। যা মোট নিহতের ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৮৩ জন। অর্থাৎ মোট নিহতের ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত বছরব্যাপী ১১৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৭২ জন নিহত, ১৩৭ জন আহত ও ৬২ জন নিখোঁজ হন।
১০৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২২৮ জন নিহত ও ৫৪ জন আহত হন। মোট দুর্ঘটনার মধ্যে পাঁচ দশমিক ২৩ শতাংশ ঘটেছে ভোরে, ৩২ দশমিক ৮৮ শতাংশ সকালে, ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ দুপুরে ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ বিকেলে, নয় দশমিক ৭৫ শতাংশ সন্ধ্যায় এবং ১৭ দশমিক ৭১ শতাংশ ঘটেছে রাতে। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগেভ জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ময়মনসিংহে এবং সবচেয়ে কম মেহেরপুরে।
১১ টি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে ও সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যও ভিত্তিতে প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে। প্রাণহানি বেড়েছে চার দশমিক ২২ শতাংশ এবং আহতের হার বেড়েছে তিন দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আগের বছরে তুলনায় ২০২০ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে দুই মাস সড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার পরেও দুর্ঘটনা ২০১৯ সালের তুলনায় বেড়েছে। ২০১৯-এর তুলনায় ২০২০ সালে পথ দূর্ঘটনা বেড়েছে আর এখন ২০২০ সালে এসে সাধারণ ছুটি না থাকলেও লকডাউন সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার দেয়াল ভেঙ্গে গড়ে তুলছে একের পর এক দূর্ঘটনা।
এই দূর্ঘটনা থেকে মুক্তির জন্য নিজেদেরকে লড়তে হবে, সচেতনতা তৈরি করতে হবে, গড়তে হবে বাংলাদেশ সাধারণ যাত্রী-মালিক-শ্রমিকবান্ধব বর্তমান। আসুন সচেতন হই, নিজেরা নিজেদেরকে বাঁচাই। মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি।