শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঠিয়ায় পৌরসভা গঠনের ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও মশা নিধনের সুবিধা এখনো পৌঁছায়নি ওয়ার্ড পর্যায়ে। পৌর কর্তৃপক্ষ বছর শেষে সদর এলাকায় দু একদিন ফগার মেশিনে স্প্রে করে বাজেটের লাখ লাখ লুটপাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০/২১ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয় ৩য় ও ৪র্থ কিস্তিতে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেয়। যা পৌরসভা সমূহে ডেঙ্গু মশক নিধন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার উপখাতে দেয়া হয়। যা গত ৮ এপ্রিল অর্থ অবমুক্ত করা হয়।
অর্থ বরাদ্দের পর মাত্র একদিন পৌরসদর এলাকায় ৮ ও ৭ নং ওয়ার্ডের কিছু অংশে স্প্রে করা হয়। এরপর থেকে আর কোথাও কোনো স্প্রে বা পরিষ্কার পরিছন্নতা কার্যক্রম করা হয়নি। আর ডেঙ্গু নিধনে এলাকায় সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোনো প্রচারণাও করা হয়নি। জানা গেছে, ২০০১ সালে পুঠিয়া সদর ও জিউপাড়া ইউনিয়নের অংশ বিশেষ নিয়ে পুঠিয়া পৌরসভা গঠন করা হয়। পৌরবাসীদের নাগরিক সুবিধার্থে নিয়মিত এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সড়ক বাতি, পানি নিস্কাশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও মশা নিধন কার্যক্রম অব্যহত রাখার নিয়ম রয়েছে।
সে মোতাবেক গত ১৮ বছর পূর্বে পৌরসভা প্রায় অর্ধ লাখ টাকা ব্যয়ে দু’টি মশা নিধন যন্ত্র ক্রয় করা হয়েছিল। এরপর থেকে সে যন্ত্রের কোনো ব্যবহার না থাকায় তা অযত্নে-অবহেলায় গুদামে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর গত বছর নুতুন করে দু’টি ফর্গার মেশিন কেনা হয়েছে। অথচ পৌরবাসী এখনো পর্যন্ত সকল এলাকায় একদিনের জন্যও মশা নিধন সুবিধা পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব ক্রমেই বেড়ে গেছে।
পৌরবাসী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়মিত পৌরকর দিয়েও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। এ যাবত পর্যন্ত আমাদের এলাকায় কখনও মশা মারার কার্যক্রম চালায়নি পৌরসভা। শুধুমাত্র রাস্তার কয়েকটি স্থানে আলোকবাতি লাগিয়ে নাগরিক সেবা দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পৌর কাউন্সিলর বলেন, মশা নিধনের জন্য দু’টি আধুনিক যন্ত্র রয়েছে আমাদের। সে যন্ত্র ক্রয়ের পর মশা নিধন কার্যক্রম না করায় যন্ত্র দু’টি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অথচ প্রতিবছর পৌরসভা বাজেটে মশা নিধনের নামে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পৌর সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা পৌরসভার অর্থায়নে ইতিমধ্যে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছি। পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা নিয়মিত বিভিন্ন স্থানের আর্বজনার স্তুপগুলো পরিষ্কার করছে। আর মন্ত্রণালয় থেকে মশা নিধন অর্থ বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় এ খাতে কোনো অর্থ দিয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। যদি আসে তাহলে আমরা মশা নিধনে কাজ করবো। আজকের তানোর