রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:০৯ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
রাজধানীতে প্রেসক্লাবে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, যান চলাচল বন্ধ একতরফা নির্বাচন গায়ের জোরে করতে চাই না কেউ : নতুন সিইসি গাজীপুরে দুর্ঘটনায় নিহর শিক্ষার্থী সাকিবের লাশ রাজশাহীতে দাফন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন গোদাগাড়ীতে প্লাজমা ফাউন্ডেশনের ৯ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আমবাগান থেকে বাঘায় দিনমুজুরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার নগরীতে জেলা কৃষকলীগ সভাপতি তাজবুল ইসলামসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার নাচোলে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ১৪৮তম শাখা উদ্বোধন গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা : সাকি তানোরে আলু বীজে মহাসিন্ডিকেট, দ্বিগুন দামে দিশেহারা চাষীরা! দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিক সরকারের দাফন সম্পন্ন দুর্গাপুরে বিএনপি’র আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপিত মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল
‘ডোনারদের টাকায়’ নৈতিক অবক্ষয় হেফাজত নেতাদের

‘ডোনারদের টাকায়’ নৈতিক অবক্ষয় হেফাজত নেতাদের

ডেস্ক রির্পোট : ‘সারা দেশের মাদ্রাসাগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ ছাত্র রয়েছে। সব ছাত্রকে একসঙ্গে রাস্তায় নামাতে পারলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে তা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। তখন একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আর এ সুযোগে সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ’এই অভিপ্রায় থেকেই হেফাজতে ইসলামের নেতাদের পেছনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে মহলবিশেষ। তাছাড়া হেফাজত নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসাগুলোর জন্য রয়েছেন ৩১৩ জন স্থায়ী ডোনার।

এসব বিনিয়োগকারী-ডোনারদের টাকায় কোটিপতি হয়েছেন হেফাজতের অনেক নেতা। আর এ টাকার কারণেই কোনো কোনো হেফাজত নেতার নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে।

রিমান্ডে থাকা হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা এসব তথ্য দিয়েছে বলে  জানিয়েছে উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা সূত্র। আওয়ামী লীগ বিরোধী হেফাজত নেতারা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পেয়েছেন। লন্ডন ও পাকিস্তান থেকেও অর্থ এসেছে।

আহলে সুন্নাহ অনুসারী এবং মাজারপন্থিদেরও টাকা দেওয়া হয়েছে। এসব টাকা কোনো বৈধ চ্যানেলে আসেনি। বেশির ভাগই এসেছে হুন্ডির মাধ্যমে। তাই টাকার প্রকৃত সোর্স বের করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। টাকাগুলো আসে হেফাজত নেতাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। পরে মাদ্রাসার অ্যাকাউন্টে (যেসব মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাব আছে) স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু ওই টাকা কীভাবে কোথায় খরচ করা হয় তার কোনো সঠিক হিসাব নেই।

সূত্র মতে, টাকার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক একাধিক বিয়ে করেছেন গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতা মাওলানা মামুুনুল হক। ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ধরা পড়েন তিনি। এরপর বেরিয়ে আসে তার একাধিক কথিত বিয়ের খবর।

এরই মধ্যে মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন কথিত স্ত্রী ঝর্ণা। মামুনুল ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন হেফাজত নেতার নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা বেরিয়ে এসেছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। তারা জানান, মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (হেলিকপ্টার হুজুর) প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রথম স্ত্রী।

মাওলানা হাবিবুল্লাহ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, প্রলোভন দেখিয়ে অন্যের স্ত্রীকে জোর করে বাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন।

গোয়ন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া কয়েকজন হেফাজত নেতা জানিয়েছেন, হেফাজতের ভেতর জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লোকরাও অনুপ্রবেশ করে। তারাই ২০১৩ সালে এবং ২০২১ সালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে। যেসব নেতা টাকা পেয়েছেন তারা প্রচার করে বেড়াতেন- মতবাদ নিয়ে নিজেদের বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু সেই বিরোধকে বড় করে দেখা যাবে না। এখন কোনো বিবেদ তৈরি করা যাবে না। নিজেদের মধ্যে যত মতপার্থক্যই থাকুক না কেন, সব ভুলে যেতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হবে। এর পর যার যার মতবাদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

সূত্র আরও জানায়, অফিসিয়ালি মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রদের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ছাত্রদের বেশির ভাগের হাতে রয়েছে স্মার্টফোন। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে আসা টাকা দিয়েই এসব স্মার্টফোন কেনা হয়। এসব স্মার্টফোনের মাধ্যমে সরকাররিবোধী তৎপরতা চালানো হয়। ফেসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করা হয়।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকিমশনার (ডিসি) আসাদুজ্জামান  বলেন, তিনটি মেয়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা মাওলানা মামুনুল হক স্বীকার করেছেন। আরও যেসব হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে সবগুলো বিষয়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সবগুলো ক্ষেত্রেই চুক্তিভিত্তিক বা আর্থিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাই এটা স্বাভাবিক বিষয় যে, মোটা অঙ্কের অর্থই তাদের নারীর দিকে ধাবিত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ইসলামের দোহাই দিলেও এ ক্ষেত্রে ইসলামের নিয়ম তারা অনুসরণ করছে না।

তিনি আরও বলেন, কোমলমতি মাদ্রাসাছাত্রদের হাতে যারা স্মার্টফোন তুলে দিয়েছেন তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এসব স্মার্টফোনের টাকা কোথা থেকে এসেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুত্রঃ যুগান্তর। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.