সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:১৩ am
ডেস্ক রির্পোট : সময়টা ২০০৭ সাল, গণতন্ত্রহীন দেশে তখন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামল। রাজনৈতিক সংস্কারের নামে চেষ্টা চলে দুই নেত্রীকে বাদ দেয়ার মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের। কূটচালের অংশ হিসেবে সে সময় বাধা দেয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতেও। সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৭ মে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার দ্বিতীয় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এমনকি সে সময় দলের সংস্কারপন্থি নেতাও স্বীকার করছেন দলীয়প্রধানের সাহসিকতার।
সেনা সমর্থিত কথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনীতির মাঠ তো বটেই সাধারণের মুখে মুখে তখন প্রচলিত ছিল মাইনাস-টু ফর্মুলা। শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দেয়ার নীলনকশা। ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দিন ও মইনুদ্দিনের নেতৃত্বে গণতন্ত্রহীন ওই সময়ে ব্যক্তিগত কাজেই দেশের বাইরে গিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিন্ন ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার সুর তুলে, রাজনীতি থেকেই তাকে বাদ দেয়ার চক্রান্ত হয়েছিল দেশে-বিদেশে।
শেখ হাসিনার অবর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে হুলিয়া জারি করে। ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে ঢুকতে দেয়া হলেও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান তাকে নামিয়ে দেয় সেনাশাসকদের হুমকির ভয়ে। সে সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সে দেশের গণমাধ্যমকে স্পষ্ট বলেন দেন, ‘আমি জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। তারপরেও আমি আমার দেশে ফিরতে চাই। কেনো তারা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) আমাকে ফিরতে দিচ্ছে না।’
দৃঢ়চেতা নেত্রী দেশের টানে মানুষের ভালোবাসার সাহসে ওই বছরের ৭ মে দেশে ফিরেছিলেন। তার প্রবল জনসমর্থনে ভীত হয়েছিল শাসকরা। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সংসদের সাব জেলে ১০ মাস ২৫ দিন কারাবরণ করতে হয় শেখ হাসিনাকে। এরপরের ইতিহাস অর্জনের, এগিয়ে যাওয়ার। সেই সময় আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থি নেতা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের কাছে প্রশ্ন ছিল সেই প্রেক্ষাপট নিয়ে। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসিকতা সেদিন নতুনভাবে প্রমাণ হয়েছে।
অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, যে কোনো প্রকারে গণতন্ত্র, মার্শাল ল উত্তর। ওই সময় (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল) তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন এটা ছিল একটা সাহসিকতার বিষয়। কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যার শত্রুর অভাব নেই। রাজনীতি করতে গেলে সাহসিকতা থাকতে হবে। যে সাহসিকতা আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধু কন্যার মধ্যে আছে।
রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকী বলছেন, শেখ হাসিনার দ্বিতীয় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পেত না গণতন্ত্র; উন্নয়নের কক্ষচ্যুত হতো দেশ। তিনি বলেন, সেনা সমর্থিত সেই সরকারের যে উদ্দেশ্য ও গন্তব্য ছিল তা হচ্ছে বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ নির্বাসনে পাঠানো। ২০০৮ এর নির্বাচনের পর থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশের শাসনভার পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শত বাধা আর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেও তিনি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কাজ করে চলেছেন নিরবধি। আজকের তানোর