শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:২৪ am
শহিদুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : কৃষিমন্ত্রী ডঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে । প্রতি বছর অসংখ্য জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে নানা কারণে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমছে । রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবও । এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে অনেক নতুন জাত ও চাষাবাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। ফলে, ক্রোমোজোম সংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে।
অন্যদিকে কৃষকদের দাবি, আমাদের ধান কাটার মেশিন দিতে হবে । ট্রান্সমিটার পুড়ে যায় । সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে হবে, যেন আমাদের ট্রান্সমিটার পুড়ে যাওয়ার বিল না দিতে হয়। খাল বিল নদী নালা খননের ব্যবস্থা করতে হবে, জাতে করে কৃষি আবাদে সেচের যেন অসুবিধা না হয় ।
কৃষিমন্ত্রী ডঃ আবদুর রাজ্জাক বলেন আমি গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে ধান কাটার মেশিন দিব । নদী-নালা খননের ব্যবস্থা করে দেব ট্রান্সমিটারের পুড়ে যাওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা করে দেব। তিনি কৃষকদের সকল দাবি গ্রহণ করায় কৃষকরা খুশি হয়েছে।
তিনি বলেন আজকে মাঠে ব্রি -৮১ জাতের ধান কাটা হচ্ছে এর ফলন অনেক ভালো বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩১ মন । এটি জনপ্রিয় ২৮ জাতের মত ব্রি -২৮ দীর্ঘদিন ধরে চাষ হচ্ছে কিন্তু উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সেই জন্য এই নতুন ব্রি -৮১ জাতটি কৃষক পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
চাষিরাও এটি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন অচিরেই ব্রি ধান -৮১ জনপ্রিয়তায় ব্রি ধান ২৮ এর মত হবে । উচ্চ ফলনশীল জাত চাষের মাধ্যমে ধান উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় এটি আশানুরূপ ভূমিকা রাখবে।
কৃষি মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা ব্রি -৮১ জাতের ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকার কৃসিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
সরকার অত্যন্ত উদারভাবে কৃষকদেরকে বিভিন্ন প্রণোদনা ও গবেষণার অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছে আধুনিক গবেষণাগার তৈরি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণার ওপর গুরুত্ব প্রদান অব্যাহত থাকবে । যাতে করে ভবিষ্যতের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মনজুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ , কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাস, বিএডিসির চেয়ারম্যান ডঃ অমিতাভ , সরকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি হামিদুর রহমান, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ডঃ শেখ বখতিয়ার ব্রীর ইসলাম , পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ব্রি’র মতে ব্রি ধান- ৮১ ব্রি ধান -২৮ জাতের পরিপূরক কিন্তু এটি ব্রি ধান- ২৮ এর চেয়ে চিকন। ঝড়-বৃষ্টিতে ব্রি- ২৮ হেলে পড়লেও নতুন ব্রি ধান-৮১ হেলে পড়ে না। এ জাতের ধানের বৈশিষ্ট্য হলো ধান পাকার পরেও পাতাগুলো সবুজ থাকে । মাঝারি উঁচু জমি থেকে উঁচু জমিতে খুব ভালো ফলন দেয়, নওগাঁ ,রাজশাহী ,নাটোর, সাতক্ষীরা ,খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ অঞ্চলে এই ধানের ফলন অনেক ভালো পাওয়া যায়। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন -৬.৫ থেকে ৭মেট্রিকটন হয়ে থাকে ।
রান্না করার পর এটি বাসন্তীর মতো দেড়গুণ লম্বা হয়ে যায়। এই চালে এমাইলোজ বেশি যার পরিমাণ -২৫ শতাংশের ওপরে। ভাত ঝরঝরে ও খেতে সুস্বাদু ধান থেকে তৈরি আতপ চাল বিদেশে রপ্তানী যোগ্য । এতে প্রোটিন থাকে -১০.৩% যা ব্রি ধান- ২৮ এ থাকে মাত্র- ৮ শতাংশ । আজকের তানোর