শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৪৪ am

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে : কৃষিমন্ত্রী

জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে : কৃষিমন্ত্রী

শহিদুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : কৃষিমন্ত্রী ডঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে । প্রতি বছর অসংখ্য জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে নানা কারণে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমছে । রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবও । এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে অনেক নতুন জাত ও চাষাবাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। ফলে,‌ ক্রোমোজোম সংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে।

অন্যদিকে কৃষকদের দাবি, আমাদের ধান কাটার মেশিন দিতে হবে । ট্রান্সমিটার পুড়ে যায় । সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে হবে, যেন আমাদের ট্রান্সমিটার পুড়ে যাওয়ার বিল না দিতে হয়। খাল বিল নদী নালা খননের ব্যবস্থা করতে হবে,  জাতে করে কৃষি আবাদে সেচের যেন অসুবিধা না হয় ।
কৃষিমন্ত্রী ডঃ  আবদুর রাজ্জাক বলেন আমি গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে ধান কাটার মেশিন দিব । নদী-নালা খননের ব্যবস্থা করে দেব ট্রান্সমিটারের পুড়ে যাওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা করে দেব। তিনি কৃষকদের সকল দাবি গ্রহণ করায় কৃষকরা খুশি হয়েছে।

তিনি বলেন আজকে মাঠে ব্রি -৮১ জাতের ধান কাটা হচ্ছে এর ফলন অনেক ভালো বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩১ মন । এটি জনপ্রিয় ২৮ জাতের মত ব্রি -২৮ দীর্ঘদিন ধরে চাষ হচ্ছে কিন্তু উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সেই জন্য এই নতুন ব্রি -৮১ জাতটি কৃষক পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

চাষিরাও এটি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন অচিরেই ব্রি ধান -৮১ জনপ্রিয়তায় ব্রি ধান ২৮ এর মত হবে । উচ্চ ফলনশীল জাত চাষের মাধ্যমে ধান উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় এটি আশানুরূপ ভূমিকা রাখবে।

কৃষি মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা ব্রি -৮১ জাতের ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকার কৃসিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

সরকার অত্যন্ত উদারভাবে কৃষকদেরকে বিভিন্ন প্রণোদনা ও গবেষণার অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছে আধুনিক গবেষণাগার তৈরি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি  ও বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণার ওপর গুরুত্ব প্রদান অব্যাহত থাকবে । যাতে করে ভবিষ্যতের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মনজুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ , কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাস, বিএডিসির চেয়ারম্যান ডঃ অমিতাভ , সরকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  আসাদুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি হামিদুর রহমান, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ডঃ শেখ  বখতিয়ার ব্রীর ইসলাম , পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক  নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ব্রি’র মতে ব্রি ধান- ৮১ ব্রি ধান -২৮ জাতের পরিপূরক কিন্তু এটি ব্রি ধান- ২৮ এর চেয়ে চিকন। ঝড়-বৃষ্টিতে ব্রি- ২৮ হেলে পড়লেও নতুন ব্রি ধান-৮১ হেলে পড়ে না। এ জাতের ধানের বৈশিষ্ট্য হলো ধান পাকার পরেও পাতাগুলো সবুজ থাকে । মাঝারি উঁচু জমি থেকে উঁচু জমিতে খুব ভালো ফলন দেয়, নওগাঁ ,রাজশাহী ,নাটোর, সাতক্ষীরা ,খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ অঞ্চলে এই ধানের ফলন অনেক ভালো পাওয়া যায়। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন -৬.৫ থেকে ৭মেট্রিকটন হয়ে থাকে ।
রান্না করার পর এটি বাসন্তীর মতো দেড়গুণ লম্বা হয়ে যায়। এই চালে এমাইলোজ বেশি যার পরিমাণ -২৫ শতাংশের ওপরে। ভাত ঝরঝরে ও খেতে সুস্বাদু ধান থেকে তৈরি আতপ চাল বিদেশে রপ্তানী যোগ্য । এতে প্রোটিন থাকে -১০.৩% যা ব্রি ধান- ২৮ এ থাকে মাত্র- ৮ শতাংশ । আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.