বৃহস্পতিবর, ১৯ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:১৭ am

সংবাদ শিরোনাম ::
পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক বৈরী আবহাওয়ার অজুহাতে বিদ্যুতের লোডশেডিং, অসহায় মানুষ বাগমারায় সাবেক এমপি এনামুল হক গ্রেফতার বাগমারায় মোমবাতির আগুনে ব্যবসায়ীর দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই মোহনপুরে চুরির মালামাল উদ্ধার, ১২ ঘন্টা পর চোর আটক মোহনপুরে ঈদে মিলাদুননবী (সা:) পালিত রাজশাহীতে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত
নগরীতে হাসপাতালের সামনে ভাগাড় কেন?

নগরীতে হাসপাতালের সামনে ভাগাড় কেন?

Editorial_SonaliSangbad

ভাগাড়, যেখানে বাসাবাড়ির বর্জ্য, এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় তা সাধারণত শহরের বাইরে, বসতি থেকে দূরে করা হয়। কারণ ভাগাড় পরিবেশ নষ্ট করে, দুর্গন্ধ-রোগজীবাণু ছড়ায়। কিন্তু আশ্চর্যের কথা পরিচ্ছন্ন এই নগরীতে স্থায়ীভাবে ভাগাড় নির্মিত হচ্ছে একটি হাসপাতালের সামনে, ডাক্তার-নার্সদের অফিস-হোস্টেলের পাশে, জনবসতির ধারেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ উঠেছে। পুলিশ এনে ভুক্তভোগীদের প্রতিবাদ দমন করা হয়েছে। এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছে গতকালের বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালের সামনে আগে থেকেই একটি অস্থায়ী ভাগাড় ছিল যেখানে এলাকার নাগরিক বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনা জমা করা হতো। ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ভাগাড়টি সরিয়ে নেবার দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নাগরিক দাবি অগ্রাহ্য করে সেখানে স্থায়ী ভাগাড় করছে। এই সেকেন্ডারি ট্রান্সফরমার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণে বাধা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন ডাক্তার, নার্স, কর্মচারীসহ এলাকাবাসী।

ভাগাড়ের কারণে তারা তাদের অতিষ্ঠ জীবনের কথা বলেছেন সংবাদকর্মীদের সামনে। দুর্গন্ধে অফিস করতে পারেন না, হোস্টেলে নার্সদের থাকতে হয় দরজা-জানালা বন্ধ করে। পাশেই নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, একটু দূরে গীর্জা, সেখানেও দুর্গন্ধে টেকা দায়। এলাকাবাসীও একই অভিযোগ। অস্থায়ী ভাগাড়টি সরিয়ে নেবার দাবি জানাচ্ছিলেন তারা দীর্ঘদিন ধরে। অথচ সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্টরা সেখানেই স্থায়ী ভাগাড় নির্মাণ করছে কেন সেটা কারও বোধগম্য নয়।

তবে সিটি কর্পোরেশনের সোজা কথা, জায়গাটির মালিক তারা। তাই তাদের যা ইচ্ছা নির্মাণ করতে পারে। ২৫ লাখ টাকায় এসটিএস নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি খোলা ভাগাড় নয়। তাই দুর্গন্ধ ছড়াবে না। এমন সাফ জবাবের পাশে যখন পুলিশ দাঁড়িয়ে যায় তখন সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব কোথায় দাঁড়ায় সেটা কারও না বোঝার কথা নয় !

নাগরিক সেবার প্রতিষ্ঠানের এমন ভূমিকা স্বাভাবিক বলা যায় কি ? নাগরিকদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে সেবাদান কিভাবে, সেটা ভেবে দেখার বিষয়। হাসপাতাল, ডাক্তার-নার্সদের অবস্থান, উপাসনালয়, সর্বোপরি জনবসতির ধারে কাছে ভাগাড় কেন সে প্রশ্নের জবাব আশা করা অযৌক্তিক হবে না নিশ্চয়ই!

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.