সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:১২ pm
রাশেদুল হক ফিরোজ, নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাগমারা প্রতিবন্ধী বাবুল হোসেনের ভোগদখলীয় সম্পতিতে জোরপূর্বক দখল সহ মামলা হয়রানি করে জেলহাজতে প্রেরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিবন্ধী বাবুল হোসেন। বাবুল হোসেনের বাড়ি উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের সাঁইধারা গ্রামে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বাগমারা প্রেসক্লাব উপস্থিত হয়ে একই এলাকার ভূমিদস্যু প্রভাবশালী মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
বাবুল হোসেন সম্মেলনে বলেন, মোজাম্মেল হক উপজেলার সাঁইধারা গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং তার নির্দেশনায় চলে গ্রামের বিভিন্ন শালিস দরবার। তার বিরুদ্ধে কথা বললেই শুরু হয় হামলা, মামলা আর হত্যার হুমকী। তার ভয়ে অতিষ্ঠ গ্রাম সহ এলাকাবাসী। সম্প্রতি নরদাশ ইউনিয়নের মৃত জোনাব আলীর প্রতিবন্ধী ছেলে বাবুল তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসাবস করে আসছিল। তার আরেক বোন নুরজাহানের নিকট থেকে একশত জমি ক্রয়ের জন্য বিশ হাজার টাকা বায়না প্রদান করেন। সেই জমি গোপনে প্রভাবশালী মোজাম্মেল হক নিজের নামে রেজিষ্ট্রি করে নেয় এরপর থেকে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। মোজাম্মেল হক জোর পূর্বক ওই জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাখে।
মোজাম্মেল হক বর্তমানে সাঁইধারা গ্রাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি। গ্রামের একক আধিপত্য ধরে রাখতে তার নেতৃত্বে গ্রামে রয়েছে একটি বাহিনী। যারা সর্বদায় সন্ত্রাসী কর্মকা-ে লিপ্ত থাকে। সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ওই গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবার। গ্রামের প্রতিবন্ধীসহ নিরীহ লোকজনকে মারপিট, জমি দখল, গোরস্থান দখল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর। সব কিছুই চলে মোজাম্মেল হকের ইশারায়। সন্ত্রাসী মোজাম্মেল হক সহ তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পুরো গ্রামের লোকজন।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসী মোজাম্মেল হক ও তার বাহিনীর ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের নামে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। জমি-জমা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হওয়া সেই ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় উভয় পক্ষের ১৯ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীরা জানান, মোজাম্মেল হক এলাকায় জমি ক্রয়ের নামে তান্ডব শুরু করেছেন। তিনি একজনের জমি ক্রয় করে অন্য জনের জমি দখল করেন। জমি ক্রয়ের নামে ওই গ্রামের এক প্রতিবন্ধী বাবুল হোসেনের গোরস্থানের জমিও দখল করতে বাদ রাখেননি। এদিকে জমিজমা ও ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব প্রতিবন্ধী বাবুল এখন পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি প্রশাসন সহ সর্বস্থরে এর সুবিচার দাবী করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাফর আলী, আইনাল হক, নুরুল ইসলাম, নওসাদ আলী, আরশাদ আলী, সুশীল চন্দ্র ও চন্দন কুমার প্রমূখ।
বাগমারা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষই আদালতে মামলা দায়ের করেছে। এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে পৃথক মামলায় উভয় পক্ষের আসামীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আজকের তানোর