রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:২৪ pm
বিনোদন ডেস্ক : স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হল বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের টুইটার অ্যাকাউন্ট। টুইটারের মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন। টুইটারের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলাম, কোনো পোস্ট থেকে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তার বিরুদ্ধে আমরা পদক্ষেপ নেব। নীতি লঙ্ঘন করার জন্য উল্লেখিত অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
টুইটার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে একটি বিবৃতি দেন অভিনেত্রী কঙ্গনা। তার বক্তব্য, টুইটার ছাড়াও অন্য হাতিয়ার রয়েছে তার কাছে। যার সাহায্যে নিজের মতামত পেশ করবেন। যার মধ্যে অন্যতম, চলচ্চিত্র শিল্প। কঙ্গনা বলেন, ‘‘টুইটার কর্তৃপক্ষ আমার বক্তব্যকে প্রমাণ করে দিয়েছে তারা আমেরিকার মানুষ। জন্মগতভাবে শ্বেতাঙ্গ। আর তাই এক জন অ-শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে তাদের দাসত্ব স্বীকার করতে বাধ্য করেছেন।’ কঙ্গনার কেবল একটি বিষয়েই চিন্তা, শুধু তিনি একা নন, তার মতো হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকার এই প্রবণতা।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হারার পর একের পর এক টুইট করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাবণের সঙ্গে তুলনা করে তার দাবি, যে সব জায়গায় বিজেপি জয়ী হয়েছে, সেখানে কোনো রকম হিংসার নিদর্শন পাওয়া যায়নি। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই শুরু হয়েছে হত্যালীলা। ‘বেঙ্গল ইজ বার্নিং’ জাতীয় হ্যাশটাগও ব্যবহার করেছিলেন অভিনেত্রী।
এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস বিজয়ী হওয়ার পরেই টুইটে এই বিজয়ের পেছনে কঙ্গনা রনৌত সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গাদের দায়ী করেন। কঙ্গনা টুইটারের একটি পোস্টে লেখেন, ‘বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতার সবচেয়ে বড় শক্তি। যা চলছে, তাতে হিন্দুরা আর সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বাঙালি মুসলিমরা বেশি দারিদ্র্য আর সবচেয়ে দুরবস্থায় জীবন যাপন করে। ভালো, আরেকটি কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।’