শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:২৪ am
সংবাদমাধ্যমে ঘটে চলেছে একের পর এক সাংবাদিক স্বার্থবিরোধী যজ্ঞ। চলছে বেপরোয়া ছাঁটাই, বেতনভাতা কমিয়ে দেয়া কিংবা সময়মতো বেতন পরিশোধে ইচ্ছাকৃত অনীহা। যার কারণে, করোনার আগ্রাসী সুনামির মুখে জীবনহানির সমূহ ঝুঁকির মধ্যে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া সাংবাদিকদের জীবন আজ হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। এমন বাস্তবতায় ঈদের আগে চলতি সপ্তাহের মধ্যে সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস দেয়ার দাবি জানিয়েছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরইউজে।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) আরইউজের সদস্যবৃন্দ দাবি জানান।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আরইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ভয়াল সুনামির মুখে বর্তমান সময়ে মে দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা কমে এলেও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের চেতনা প্রতিনিয়ত প্রবাহিত হচ্ছে শ্রমিক-সাংবাদিকদের রক্ত-ঘামে।’
সাংবাদিকদের জীবন দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে ঠেলে দেয়ার অপতৎপরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েে তারা বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৬০ জন পেশাদার সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। অনেক সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে জরুরি পেশা হিসেবে সাংবাদিকরা কাজ করে গেলেও বহু প্রতিষ্ঠান সাংবাদিক-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতাদি পরিশোধে টালবাহানা করছে।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘প্রথম কাতারের দাবিদার একাধিক সংবাদপত্র ও টেলিভিশন ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসের বেতন বকেয়া রেখেছে। বহু প্রতিষ্ঠানে ৫/৬ মাস বা তার চেয়েও বেশি বকেয়াও আটকে রেখেছে। শ্রম আইনে যা অন্যায়, অমানবিক ও অপরাধের শামিল। উপরন্তু, নানা অজুহাত দেখিয়ে করোনাকালে সাংবাদিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। এই শিল্পে তৈরি করা হয়েছে এক ধরনের অস্থিরতা।
আরইউজের নেতারা চলতি সপ্তাহের মধ্যে বেতনসহ পরিপূর্ণ বোনাস প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘তা না হলে এই শিল্পের যেকোনো ধরনের অস্থিরতার দায়-দায়িত্ব সংবাদমাধ্যমের মালিকদের বহন করতে হবে। প্রয়োজনে এবারও ঈদের দিনে ‘অবস্থান ধর্মঘট’ করে বিশ্ববাসীর কাছে জানিয়ে দিতে হবে- বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের মালিকেরা কতটা হিংস্র ও বেহায়া।’