শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৩০ pm
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার তাড়াবাড়িয়া হাটের ইজারা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুটি গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে হাট ইজারাদারের কর্মী ও ব্যাপারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ব্যাপারীদের গরু ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর সদর উপজেলার তাড়াবাড়িয়া হাটের ইজারা নেন সুজানগরের জনৈক ইউনুস এবং সিদ্দিক সর্দার গং। এবারের ডাকে হাটের ইজারা পেয়েছেন পার্শ্ববর্তী দুবলিয়া এলাকার জিয়াউর রহমান এবং নাসিম গং। এরা দুই গ্রুপই আওয়ামী লীগ সমর্থিত।
এ বছর হাট ইজারাদার পরিবর্তন হওয়ায় সেখানে উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে বুধবার ওই হাটে সংঘর্ষ এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পাবনা থানার পুলিশ এবং সদর ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
হাটের ইজারাদার নাসিম অভিযোগ করেন, গত বছর ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে হাটের ইজারা নেন সিদ্দিক সর্দাররা। এবছর আমরা ৩ গুণ টাকা দিয়ে অর্থাৎ ৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকায় হাটের ইজারা নিয়েছি। কিন্তু বছরের শুরুতেই হাটের খাজনা তুলতে গেলে সিদ্দিক সর্দাররা বাধা দেয়া শুরু করেন।
তিনি বলেন, বুধবার হাটবারে সিদ্দিক সর্দাররা বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসী মাস্তান নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ হাটে হামলা চালায়। তারা আমাদের লোকজনকে এবং হাটের ব্যাপারীদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় তারা কয়েকটি গরু এবং ব্যাপারীদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গরুর ব্যাপারী আলী সর্দারকে (৫৫) গুরুতর অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইজারাদার নাসিম দাবি করেন, কোনো সংঘর্ষ নয়, পরিকল্পিতভাবে হাটে হামলা চালিয়েছেন সিদ্দিক সর্দার গং।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আখতার রিনা বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি দু’পক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংসা করে দেবেন। পাবনা থানার ওসি নাসিম আহম্মদ বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আজকের তানোর