শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, সময় : ০৫:০৬ pm
এম এম মামুন :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় অ্যালকোহল পানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে মোহনপুরে মারা গেছেন তিনজন। আর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একজন। মোহনপুরে অ্যালকোহল পানে অসুস্থ হয়ে পড়া আরও চারজন রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারা যাওয়া তিনজনের সাথে তারা অ্যালকোহল পান করেছিলেন।
মারা যাওয়া চারজন হলেন- মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মো. টোটন (৪০), একই গ্রামের মোন্তাজ আলী (৪০) ও করিশা গ্রামের মো. জুয়েল (৩৫)। রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আতোয়ার হোসেন (৩৫)। নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর গ্রামে তার বাড়ি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন হলেন- মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর কাচারিপাড়া গ্রামের আকবর আলী (৪৩), দুর্গাপুর শাহপাড়া গ্রামের মো. ফিরোজ (২৬), দুর্গাপুর মোন্নাপাড়া গ্রামের মো. পিন্টু (২৫) ও দুর্গাপুর খাঁ পাড়া গ্রামের মো. মোনায়েম (২৫)। তারা সাতজন এক সাথে অ্যালকোহল পান করেছিলেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ফারুক হোসেন জানান, অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়া আতোয়ারকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এর ৮ মিনিট পর তিনি মারা যান। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান বলেন মোহনপুরের সাতজন গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এলাকায় অ্যালকোহল পান করেন। এরপর বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়। অন্য চারজনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, টোটন ও জুয়েল অ্যালকোহল বিক্রি করতেন। অন্যদের সাথে তারাও পান করেছিলেন। এ দুজন বাড়িতেই মারা যান। পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই তাদের মরদেহ স্বজনেরা দাফন করে দেন। বৃহস্পতিবার মোন্তাজের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে মরদেহ স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়।
ওসি বলেন, এ ব্যাপারে মোন্তাজ আলীর ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত মাদক ব্যবসায়ীদের আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রা/অ