বৃহস্পতিবর, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, সময় : ০৭:৩৯ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে দায়েরকৃত মিথ্যা সাজানো চাঁদাবাজি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা বারি’র বিজ্ঞানী মো. মামুনূর রশিদ মামুন। ৮ জানুয়ারী বুধবার চাঁপাই নবাবগঞ্জের বিজ্ঞ জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান তাকে খালাস করে দেন। মামুনের বাড়ি তানোর উপজেলার তেলোপাড়া গ্রামে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক ডাল গবেষণা মাদারীপুর কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দোসর নামে পরিচিত ঘুষখোর তারিক উজ্জামান ওরফে তারেক চাহিদা মতো ঘুষ না পেয়ে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মামুনকে ফাঁসানোর জন্য নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করেন। তারেকের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চান্দলাই বাগানপাড়া গ্রামে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জুডিশিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন স্টেনো-টাইপিষ্ট পদে চাকুরি করেন। এজন্য আলাদ্দিনের চেরাগ পেয়েছেন তিনি। আদালতে তার এমন পদে চাকুরি করার দাম্ভিকতা থেকে রেহায় পাইনি বাবা ও মা। তিনি বিভিন্ন ভাবে বাবা ও মাকে অন্যায় ও অত্যাচার করতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করায় তৎকালিন সময়ে আ.লীগের দলীয় ও আদালতে চাকুরীর প্রভাব খাটিয়ে সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা বারি’র বিজ্ঞানী মামুনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মিথ্যা সাজানো চাঁদাবাজির অভিযোগ দেন। তার এমন অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পায়নি। পরে তিনি যে আদালতে চাকুরি করেন ওই আদালতেই মামলা ঠুকে দেন ঘুষখোর তারেক। যার মামলা নম্বর সিআর-২০৩/২৩। তারিখ- ২৬ ফেব্রুয়ারী/২৩।
ওই মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানাকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। যার জিআর মামলা নম্বর ১০৬/২৩। তারিখ ২ মার্চ/২৩। ওই থানার ওসি এমন আদেশের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে বিজ্ঞ আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে ঘুষখোর তারেক নারাজি দেখিয়ে মামলাটিতে মামুনের বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা ও বাড়ির মালামাল ক্রোকের আদেশ করান। এঅবস্থায় মামুন পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞ উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে জামিন লাভ করেন। পরবর্তীতে মামুনকে আদালতে মামলার হাজিরায় অনুপস্থিত দেখানোর কু-কৌশলে সংশ্লিষ্ট জিআরওকে প্রভাবিক করে দৈনিক কার্য তালিকা থেকে ওই মামলা নম্বর বাদ দেয় আ.লীগের দোসর ঘুষখোর তারেক। ফলে আসামীর হাজিরা ছাড়া মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি হাতে পেয়ে আসামী অনুপস্থিত দেখে গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ দেন। এমন আদেশের সুযোগে কু-কৌশলে সাজা না হলেও সাজাপ্রাপ্ত আসামী বলে মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট জারী করান স্টেনো-টাইপিষ্ট আ.লীগের দোসর তারেক।
এভাবে দিনের পর দিন ও বছরের বছর ধরে সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা বারি’র বিজ্ঞানী মামুনকে হয়রানি, সম্মান হানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেন আ.লীগের দোসর ঘুষখোর তারেক। কিন্তু তাতে তার কোন লাভ হয়নি। বিজ্ঞ আদালত এমন মিথ্যা ও সাজানো মামলাটি খারিজ করে দেন।
এবিষয়ে তারেকের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফহিম উদ্দিন বলেন, তারেক তার পুত্র হলেও সে দূর্নীতিবাজ ঘুষখোর ও পিতা-মাতাকে নির্যাতনকারী প্রতারক। বিজ্ঞ আদালতের অজান্তে কু-কৌশলে, আদালতকে ব্যবহার করে আদালতের সুনাম ক্ষুন্ন করে আসছে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্য। এমন দূর্নীতিবাজ ঘুষখোর তারেকের বিজ্ঞ আদালতের মতো সুনামধন্য জায়গায় চাকুরি করার অধিকার নেই। তাকে অবিলম্বে চাকুরিচ্যুত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জুডিশিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনো-টাইপিষ্ট তারিক উজ্জামান তারেকের মোবাইলে ফোন দিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, চাঁপাইয়ে অনেক কোর্ট আছে, আবার অনেক তারেক আছে আপনি কোন তারেকের কাছে ফোন করেছেন বলে এড়িয়ে গিয়ে সংযোগ বিছিন্ন করেন। রা/অ