বুধবা, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, সময় : ০৯:০২ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে পুঠিয়ায় অবৈধ পুকুর খননের ধুম আরএমপিতে পুলিশের অভিযানে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ গ্রেপ্তার ২০ রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদ, সেক্রেটারি মুজাহিদ রাবিতে পোষ্য কোটা বহালের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট নগরীতে হারানো ম্যানিব্যাগসহ টাকা ফিরে দিলেন পুলিশ রামেক হাসপাতালে নেই জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন, ভোগান্তিতে রোগীরা বরেন্দ্র অঞ্চলে কমেছে সরিষার আবাদ : উৎপাদনে পড়বে না প্রভাব জমিনে আল্লাহর আইন চালু নেই বলে দেশের কোন পরিবর্তন হয়নি : জামায়াতের নায়েবে আমীর বাগমারায় প্রধান শিক্ষককে অপহরণে মুক্তিপণ দাবিতে গ্র্রেফতার দুই ঐক্যমতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্র দেওয়ার আহ্বান : শিবির সভাপতি তানোর পৌরসভায় ইউএনও’র শীতবস্ত্র বিতরণ মুন্ডুমালায় বণিক সমিতির সভাপতি তুহিন ও সম্পাদক হান্নান নির্বাচিত মান্দায় মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ২ চারঘাটে ডিবি পুলিশের অভিযানে ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার দুর্গম চরে দুইশত পরিবারকে ব্রাইট লাইফ ভলান্টিয়ার্সের স্বাস্থ্যসেবা রাজশাহীতে থানা ও ডিবি পুলিশের অভিযানে আ.লীগের নেতাকর্মীসহ গ্রেপ্তার ২৭ বই পড়ে পুরস্কার পেল পবার চরাঞ্চলের তিন শিক্ষার্থী রাজশাহীতে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ক্রিকেট টুর্নামেন্টেরের উদ্বোধন গাইবান্ধায় আদিবাসীপল্লিতে হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন রাজশাহীতে ১০ দিনব্যাপি বিসিক উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন
বরেন্দ্র অঞ্চলে কমেছে সরিষার আবাদ : উৎপাদনে পড়বে না প্রভাব

বরেন্দ্র অঞ্চলে কমেছে সরিষার আবাদ : উৎপাদনে পড়বে না প্রভাব

মুক্তার হোসেন (নিজস্ব প্রতিবেদক) গোদাগাড়ী :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে চলতি রবি মৌসুমে ১২ হাজার ৫৩ হেক্টর জমিতে এবার সরিষা আবাদ হয়নি। এবার ৭৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। তবে, আবাদ করা হচ্ছে ৬৫ হাজার ২৯৭ হেক্টর জমিতে। গেল বছর তেলবীজ জাতীয় ফসলটি আবাদ হয়েছিল ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে।

রাজশাহী কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, চাষের জমি কমলেও উৎপাদনে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। এখন পর্যন্ত ছত্রাক বা রোগবালাই না থাকায় এবার উচ্চ ফলন পাওয়া যাবে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৬০ টন। এ বছর ফলন ৬০ হাজার টন উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরিষা চাষে জমির উর্বরতা বাড়ে। প্রতি বিঘা জমি থেকে চলতি মৌসুমে গড়ে ছয়-সাত মণ সরিষা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বীজ বপন থেকে ৭০-৭৫ দিনে ফসলটিতে তেমন সেচ দিতে হয় না। বপনের সময় মাটির নিচে সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার দিলেই চলে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষে কম খরচ, কম শ্রম ও দ্রুত ফলন পাওয়া যায়। এ কারণে চাষিরা লাভ বেশি পান। ভোজ্যতেল হিসেবে সরিষার চাহিদা থাকলেও চলতি বছর চাষের জমি কমেছে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীসহ ৯টি উপজেলায় সরিষার চাষ করা হচ্ছে। আমন ধান কাটার পর উপজেলার কৃষকরা বোরো মৌসুমের আগেই সরিষা চাষ করেছেন। চলতি বছর বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৭, বিনা-৯, বিনা-৪, টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছেন তারা।

সরেজমিন গোদাগাড়ী উপজেলার বিলপাতিকলা, দুর্গাদহ বিল, রেলগেট বিল, সুশাডাং, বোগদামারী, কালিদীঘিসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সরিষার হলুদ ফুলে ভরে গেছে পুরো মাঠ। ভোরের কুয়াশা, সকালের মিষ্টি রোদ কিংবা বিকেলের শীতের স্নিগ্ধতার মধ্যে দিগন্তজোড়া হলুদ সরিষা ফুল এক অন্য রকম সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে মাঠে মাঠে। কোথাও কোথাও সরিষাখেতে মৌ-বক্স বসিয়ে মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহের কাজ চলছে।

গোদাগাড়ীর বালিয়াঘাট্টা গ্রামের চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই তিনি চার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেন। এবার কৃষি কর্মকর্তারা আরও বেশি জমিতে চাষ করার পরামর্শ দেন। গত বছর ভালো লাভ হওয়ায় তিনি রাজি হয়ে যান। এবার চাষ করেছেন সাত বিঘা জমিতে। এই জমি থেকে ইতোমধ্যে দুই হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছেন তিনি।

চব্বিশনগর গ্রামের শামসুল ইসলাম জানান, এবার তিনি নয় বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। গত বছর তিনি প্রতি বিঘায় সাত-নয় মণ ফলন পেয়েছিলেন। প্রতি মণ সরিষা শুরুতে ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি করেছিলেন। এবারো তেমনটিই আশা করছেন।

চাষী আব্দুল বাছেদ জানান, সরিষা চাষে বিঘাপ্রতি খরচ ৫-৬ হাজার টাকা। চাষের ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। গত বছর সরিষা বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। বাজারে এখনো ভালো মানের সরিষা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার উচ্চ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এবার চাষের জমি কমেছে। প্রতি হেক্টরে ফলন ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৬ টন। সে হিসাবে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৭৫ হাজার টন সরিষা উৎপাদন হতে পারে। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.