বুধবা, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, সময় : ০৬:০০ am
আবু বাককার সুজন (নিজস্ব প্রতিবেদক) বাগমারা :
রাজশাহীর বাগমারার নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে এই ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ওই ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের দিন থেকেই নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার আবুল গ্রেফতারের ভয়ে আত্নগোপন করেন। এই পরিস্থিতিতে ওই ইউপির দাপ্তরিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য ইউপির ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেনসহ কয়েকজন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে মেনে না নেওয়ায় বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এই বিরোধের জেরে ১নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কাশেম, ২নং ওয়ার্ড সদস্য আাশরাফুল ইসলাম আজা ও ৩নং ওয়ার্ড সদস্য কাজেম উদ্দিনসহ ইউপির ৮ জন ওয়ার্ড সদস্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে রফিকুল ইসলামকে প্যানেল চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানোর জন্য আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা তাজরুল ইসলাম মিলনকে নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে তাজরুল ইসলাম মিলনকে বরণ করে নেওয়ার জন্য ইউপি কার্যালয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। আইসিটি কর্মকর্তা তাজরুল ইসলাম মিলন ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসামাত্র প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের পক্ষের লোকজন তার উপর হামলা চালায় এবং তার গাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেনের পক্ষের লোকজনও রফিকুল ইসলামের লোকজনের উপর পালটা হামলা চালালে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ এবং ধাওয়া ও পালটা ধাওয়া চলতে থাকে। এতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়।
এব্যাপারে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। রা/অ