মঙ্গবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, সময় : ০১:২৫ pm
এম এম মামুন :
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উপদেষ্টার সফর বাতিল হওয়ায় রাজশাহীর পুঠিয়া ও মোহনপুর উপজেলায় একটি কম্বলও বিতরণ করা হয়নি। সফরসূচিতে ছিল পুঠিয়া ও মোহনপুর উপজেলায় তিনি শীতার্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করবেন।
এ জন্য দুই উপজেলার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দুই হাজার করে কম্বল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এখন কম্বলগুলো নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। শীত শেষ হয়ে যাচ্ছে, স্থানীয়ভাবে যদি কম্বল গুলো বিতরণ করা হয়, পরে উপদেষ্টা এলে তাঁরা আবার কম্বল কোথায় পাবেন। এই কারণে কম্বল গুলো বিতরণ করা হচ্ছে না।
গত ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজ হাতে শীতার্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করবেন বলে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কম্বল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। বর্তমানে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। রোববার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি, শুক্রবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং বৃহস্পতিবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। উপদেষ্টার সফরসূচি অনুযায়ী, ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া, মোহনপুর শীতার্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উপদেষ্টা নিজ হাতে কম্বল গুলো বিতরণ করবেন।
এদিকে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণে সফরের তৃতীয় দিনে রংপুর বিভাগ থেকেই ঢাকায় ফিরে যান উপদেষ্টা। রাজশাহীর পুঠিয়া ও মোহনপুর উপজেলায় উপদেষ্টার বিতরণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সরবরাহ করা কম্বল গুলো পড়ে আছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম নূর হোসেন বলেন, এগুলো সাধারণ বরাদ্দ নয়। উপদেষ্টা নিজ হাতে বিতরণ করবেন বলে জেলা পরিষদ থেকে কম্বলগুলো সরবরাহ করা হয়েছিল। এখন স্থানীয়ভাবে বিতরণ করলে পরে যদি উপদেষ্টা আসেন, তখন আবার কম্বল কিনতে হবে। এ জন্য উপদেষ্টার সফরসূচি বাতিল হওয়ার পরপরই তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন। তারা পরে জানাবে বলেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা বলেন, কম্বল পেয়েছেন। উপদেষ্টার সফর বাতিল হওয়ার কারণেই বিতরণ করা হয়নি। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। রাজশাহী স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান বলেন, তিনি শুনেছেন কম্বলগুলো পড়ে আছে। বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগের নয়, এটা জেলা পরিষদের কম্বল। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বলতে পারেন।
রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন কি না, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই কম্বল বিতরণ করে দিতে বলা হয়নি। আমরা কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করছি। যদি দেখি উনি আসবেন না, তখন কম্বল গুলো বিতরণ করে দিতে বলা হবে। আমরা বললেই নির্বাহী (ইউএনওরা) কম্বল বিতরণ করে দেবেন। রা/অ