রবিবর, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, সময় : ০৫:৫৩ am
এম এম মামুন :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় কেবল সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ ১ শতাংশ কোটা বাতিলের দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় কেবল সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ ১ শতাংশ কোটা বাতিলের দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ‘পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে শুধু সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা রেখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাত ৮টায় আন্দোলনকারীরা সংবাদ সম্মেলন করে সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে পোষ্য কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, গতকাল প্রশাসন নতুন সিদ্ধান্ত জানায়। পরে উপাচার্য ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ করলে তা হবে অন্যায় দাবি। আমরা তো ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই আসতে চাই। কিন্তু আপনারা ভর্তি পরীক্ষার আগেই সিট রিজার্ভ করছেন। আমার প্রশ্ন, তাহলে অন্যায় দাবি কোনটা? অবিলম্বে পোষ্য কোটা বাতিল করে মেধাবীদের মুক্তি দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম সজীব বলেন, আমাদের জুলাইয়ের মূল ম্যান্ডেট ছিল কোটা বাতিল। পরবর্তী সময়ে সরকারের বল প্রয়োগে তাদেরই পতন হয়েছে। এরপরই নতুন প্রশাসন ন্যায্যতার ভিত্তিতে চেয়ারে বসেছে। কিন্তু চার মাস পেরোতেই আমরা আশাহত হয়েছি। আমাদের আবার কোটার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে হচ্ছে। তাতে আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমাদের দাবি, আজকের মধ্যেই পোষ্য কোটা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে শুধু এ বছরের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রেখেছি। এর পরিমাণ ভবিষ্যতে বাড়ার সম্ভাবনা নেই বরং এটাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটা রয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের পরও শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে কেন দাবি তুলছে, তা আমার বোধগম্য নয়। রা/অ