শনিবর, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, সময় : ১২:৪২ pm
আবু বাককার সুজন (নিজস্ব প্রতিবেদক) বাগমারা :
গত ৫ আগস্ট সকালে রাজশাহীর বাগমারায় ছাত্র-জনতার আন্দোলে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে হামলা চালানো আ.লীগর ও সহযোগী সংগঠনের ক্যাডারদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকত। এই সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে পুলিশ প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বাগমারায় থাকতে পারবেন না বলে ঘোষনা দেওয়া হয়। গত রোববার ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অলটিমেটাম দেন। প্রধান অতিথির এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, আ.লীগের সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী গুন্ডাদের পুলিশ গ্রেফতার না করে অপরাধের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশকে অবশ্যই জনগণের কাছে এর জবাব দিহি করতে হবে। তাই তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন- এক মাস নয়, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আ.লীগের সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী গুন্ডাদের গ্রেফতার করতে হবে। সেই সাথে ছাত্র-জনতার আন্দোলে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোও উদ্ধার করতে হবে। তা না হলে আপনাদের বিতাড়িত করা হবে।
সম্মেলনে স্থানীয় বক্তারা অভিযোগ করেন- গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের গণঅভ্যুত্থানের দিন সকালে বাগমারার ভবানীগঞ্জ, হাটগাঙ্গোপাড়া ও বাইগাছা বাজারে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আ.লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও যুবলীগসহ দলের সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত লোকজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় কয়েকজনকে গুলি করে, কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু আ.লীগের অস্ত্রধারী সেইসব গুন্ডাদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি.এম জিয়াউর রহমান জিয়া অভিযোগ করেন- স্থানীয় প্রসাশনে এখনো আ.লীগের দোসররা রয়েছেন। তাই তারা সঠিক ভাবে কাজ করছেন না। কাজেই তাদের এখানে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে তাদের অপসারনের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন- গত ৫ আগস্টের ঘটনায় থানায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে। ওই সব মামলায় সাবেক এমপি আবুল কালামসহ বেশ কিছু আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্ট চলছে। তাছাড়া পৃথক দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ককটেল, ছুরা, হাসুয়া, দা, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রডসহ বিভিন্ন ধরণে অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তারপরেও বাগমারা থেকে চলে যেতে হলে, যাবো। রা/অ