রবিবর, ২৯ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১১:২০ am
এম এম মামুন :
অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার জনপ্রত্যাশা-জনআকাঙ্খার বাইরে গিয়ে ‘অন্য এজেন্ডা’ নিয়ে কাজ করলে দেশের মানুষ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের মহাবিপ্লবের পর প্রত্যেকেই সমর্থন দিয়েছে ড. ইউনূস সাহেবকে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য একটি জনপ্রত্যাশা-জনআকাঙ্খার বাইরে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্য এজেন্ডা নিয়ে কাজ করলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের রাজশাহী বিভাগীয় কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এখনও চালের দাম কমেনি, চিনি ও আলুর দাম কমেনি। আলুর মৌসুমে আমাদের ৩-৪ টাকা দরে আলু বিক্রি হতো। শেখ হাসিনার কারণে গতবছর থেকে ভারত থেকে আলু আমদানি করতে হয়। এবারও যদি আলু আমদানি করতে হয়, তাহলে মানুষ বলবে ড. ইউনূস সাহেবের সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, তাহলে কী লাভ হলো? অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, ৫ই মে রাতে শেখ হাসিনার সরকার কত আলেম-ওলামাকে খুন করেছে সেই হিসাব কিন্তু এখনও পাওয়া যায়নি। আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রস্তাবের বিরোধীতা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন আনুপাতিক হারে নির্বাচন। কেন? আনুপাতিক নির্বাচন কীসের জন্য? এটা কী তৃণমূলের মানুষ বোঝে?’
যেসব রাজনৈতিক দলের ভোটের সংখ্যা বেশি নয়, তারা আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান; যাদের ভোটের সংখ্যা বেশি নয়, তারা এটা একটা কৌশল হিসেবে নিয়েছেন। এটা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। এই ধরনের কোন পদ্ধতি নিয়ে যদি আপনারা ষড়যন্ত্র করেন, এই ষড়যন্ত্র কিন্তু মানুষ ধ্বংস করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘যে সংস্কারের কথা বলছেন, এখানে তো তাহলে সংস্কার হবে না। একটা রাজনৈতিক দলকে মানুষ ভোট দেবে, এখন সেই দল ঠিক করবে কোন আসনে কাকে এমপি বানাবে। তাহলে তো কেনাবেচা আরও শুরু হবে। এই কারণে দুয়েকটি রাজনৈতিক দল আনুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছে। তারা তাদের লাভটা দেখছে। কিন্তু দলের এবং নিজের জনপ্রিয়তা মিলেই তো নির্বাচিত হন। এই ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। রুহুল কবির রিজভী বলেন,‘হ্যাঁ, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটার প্রচলন আছে, কিন্তু তারাও এটা বাতিল করার কথা ভাবছে।
সমাবেশে রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক তাজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মাওলানা মো. সেলিম রেজা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ ও মহানগরের আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা প্রমুখ। রা/অ