শুক্রবার, ২৭ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১২:৩৩ pm
আবু বাককার সুজন (নিজস্ব প্রতিবেদক) বাগমারা :
রাজশাহীর বাগমারায় ছয় মাসে চলন্ত লাইন থেকে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সেচপাম্পের ৯৯টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও মিটার চুরি হয়েছে। চুরির পর সাদা কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে দিয়ে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। এসব মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ঝামেলা এড়াতে অনেকেই চোরদের বিকাশযোগে টাকা দিয়ে চুরি যাওয়া মিটার ফেরত নিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস ধরে বাগমারায় সাদা কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে দিয়ে চাঁদা দাবি করে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও মিটার চুরি হচ্ছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে থানা ফটকের সামনেসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনটি বাণিজ্যিক ট্রান্সফরমারসহ পল্লীবিদ্যুতের ১৩ টি মিটার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে থানা ফটকের সামনে থেকে এবং গনিপুর, গোয়ালকান্দি, বড় বিহানালী, হামিরকুৎসা, যোগীপাড়া, মাড়িয়া ও গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১০ টি আবাসিক মিটারসহ চাউল কল ও সেচপাম্পের তিনটি বাণিজ্যিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।
চোরদের লিখে দেওয়া মোবাইল নম্বরে ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ করলে চুরি যাওয়া মিটার ফেরত নিতে হলে বিকাশ করে টাকা পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের মিটার ও ট্রান্সফরমারের নম্বর অনুযায়ী আলাদা আলাদা বিকাশ নম্বর দেওয়া হচ্ছে এবং সাত হাজার থেকে দশ হাজার করে টাকা দাবি করা হচ্ছে। বিকাশে টাকা পাঠানোর পর খড়ের পালার মধ্যে কিম্বা ঝোপঝাড়ের মধ্যে চুরি যাওয়া মিটার রেখে যাওয়া হচ্ছে। তেলিপুকুর গ্রামের চাউল কলের মালিক আসাদুল ইসলাম ও গনিপুর গ্রামের চাউল কলের মালিক বজলুর রশিদ জানান, বিকাশে চোরদের দশ হাজার টাকা করে দেওয়ার পর তাদের নির্দেশনা অনুয়াযী খড়ের পালার মধ্যে থেকে তারা চুরি হওয়া মিটার ফেরত পেয়েছেন। বাগমারা গ্রামের সেচপাম্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম জুয়েল জানান, চোরদের লিখে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে তার কাছে দশ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা না দিয়ে আশেপাশে ঝোপঝাড়ের মধ্যে তিনি চুরি যাওয়া মিটার খোঁজাখুজি করছেন।
এ বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ অধিদপ্তরের বাগমারা জোনাল অফিসের মহাব্যবস্থাপক মোস্তাফা আমিনুর রশিদ বলেন, মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় গ্রাহকদের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হচ্ছে। অথচ চোর সনাক্ত হচ্ছে না। চোরদের লিখে দেওয়া মোবাইল নম্বরগুলো ট্যুাকিং করলেই তাদের সনাক্ত করা যাবে। থানার ওসি তৈহিদুল ইসামল বলেন, চোরদের লিখে দেওয়া নম্বরগুলো ট্রাকিং করলে দেখা গেছে তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোক। মিটার চুরির ঘটনায় বাইরের লোকের সাথে বাগমারা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রা/অ