বৃহস্পতিবর, ২৬ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৯:০৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা :
বাগমারা থানা ফটকের সামনেসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এক রাতে দুটি বাণিজ্যিক ট্রান্সফরমারসহ পল্লীবিদ্যুতের ১১ টি মিটার চুরি হয়েছে। ওইসব মিটার ও ট্রান্সফরমারগুলো চুরির পর সাদা কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে ঝুলিয়ে দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। সাদা কাগজে লিখে দেওয়া মোবাইল নম্বরে চোরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের দেওয়া নির্দিষ্ট নম্বরে বিকাশ করে টাকা পাঠিয়ে অনেকেই চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমার ও মিটার ফেরত পেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন নম্বরে সাত হাজার থেকে দশ হাজার করে বিকাশযোগে টাকা দিতে হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস ধরে বাগমারায় সাদা কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে ঝুলিয়ে দিয়ে চাঁদা দাবি করে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও মিটার চুরি হচ্ছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে থানা ফটকের সামনে থেকে এবং বাগমারা গ্রাম, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা, গোয়ালকান্দি, বড় বিহানালী, হামিরকুৎসা ও গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পল্লীবিদ্যুতের দুটি বাণিজ্যিক ট্রান্সফরমারসহ ১১ টি মিটার চুরি হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সেচপাম্পের বৈদ্যুতিক মিটার রয়েছে। গত ছয় মাসে এই উপজেলায় প্রায় ৯৬ টি মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।
প্রতিটি মিটারের দাম ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা হলেও চুরি যাওয়া মিটার ফেরত নিতে চোরদের দিতে হচ্ছে সাত থেকে দশ হাজার টাকা। ঝামেলা এড়াতে পুলিশকে না জানিয়ে টাকা দিয়ে চুরি হওয়া মিটার ফেরত নিচ্ছেন গ্রাহকরা। বিকাশযোগে টাকা পরিশোধের পর কোনো নির্দিষ্ট স্থানে খড়ের পালার মধ্যে কিম্বা ঝোপঝাড়ের মধ্যে চুরি যাওয়া মিটার রেখে যাওয়া হচ্ছে। বাগমারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের সেচপাম্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম জুয়েল জানান, চোরদের লিখে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে তার কাছে দশ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি টাকা না দিয়ে আশেপাশে ঝোপঝাড়ের মধ্যে তার চুরি যাওয়া মিটার খোঁজাখুজি করছেন বলে তিনি জানান।
একই এলাকার চাউল কলের মালিক বজলুর রশিদ সাত জাহার টাকা দিয়ে তার মিটার ফেরত পেয়েছেন। মিটার চুরির সঙ্গে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন জড়িত রয়েছে বলে তিনি দাবি করে। তবে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন মিটার চুরির সঙ্গে জড়িত নাই বলে গ্রাহদের দাবি অস্বীকার করেছেন নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাগমারা জোনাল অফিসের মহাব্যবস্থাপক মোস্তাফা আমিনুর রশিদ। তিনি বলেন, এইসব চুরির ঘটনায় গ্রাহকদের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়। চোরদের লিখে দেওয়া মোবাইল নম্বরগুলো ট্যুাকিং করলেই তাদের ধরা যাবে। থানার গেট থেকে মিটার চুরি হচ্ছে। অথচ চোর সনাক্ত হচ্ছে কেন?
তবে থানার গেট থেকে মিটার চুরির বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম। তবে মিটার চুরির সাথে জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। রা/অ