বুধবা, ২৫ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১১:৩৮ am
ডেস্ক রির্পোট :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে নিহত দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতদের পরিবার। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নাচোল বাজারে ইলা মিত্র গণপাঠাগার ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রে এ সংবাদ সম্মেলন করে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবার।
এসময় নিহত রাইহান ও মাসুদের স্বজনরা বলেন, নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের খলসী ও মল্লিকপুর গ্রামের দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে পেয়ারা বাগানে কাজ করার সূত্র ধরে পূর্বের একটি বিরোধ ছিল। এরই সূত্র ধরে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গেলে মল্লিকপুর গ্রামের ছেলেরা তাদের দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করে; কিন্তু দুইজনের কেউই এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। শুধুমাত্র খলসী গ্রামে বাড়ি, তাই হত্যা করা হয়েছে।
নিহত রাইহানের ভাই ও মাসুদের বাবা বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের ভেরিফাইড পেজ ও নেতাকর্মীদের ফেসবুক পোস্ট এবং ভারতীয় কিছু মিডিয়া তাদের দুজনকে ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দেয়; কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।
তিনি বলেন, এর মধ্যে নিহত রাইহান পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে কিভাবে ছাত্রলীগের কর্মী হয়। ১৩ বছর বয়সি একজন প্রতিবন্ধী শিশুকে আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।
মাসুদের বাবা ও হত্যা মামলার বাদী এজাবুল হক বলেন, আমার ছেলে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করত। কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তাই দয়া করে এ হত্যাকাণ্ডকে যারা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন, তাদের এই পথ থেকে সরে আসার অনুরোধ জানাই।
নিহত মাসুদের বাবার আর্তি, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই। আমার ছেলের বিরুদ্ধে জয় বাংলা লেখার কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাও সঠিক নয়।
নিহত রাইহানের বাবা আব্দুর রহিম বলেন, আপনাদের কাছে হাত জোর করে অনুরোধ জানাই- দয়া করে এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করবেন না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত রাইহানের ভাই আলী আকবর, বাবা আব্দুর রহিম, নিহত মাসুদের বাবা এজাবুল হক, ভাই জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা।
গত ১৭ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মল্লিকপুর বাজারে ছুরিকাঘাতে এ নিহতের ঘটনা ঘটে। আরও ৪ জন কিশোর এ ঘটনায় আহত হয়। নিহত মাসুদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অষ্টম সেমিস্টারে ও রাইহান পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, হত্যাকাণ্ডের পরদিন রাতে নিহত মাসুদের বাবা এজাবুল হক ১৮ জনকে আসামি করে নাচোল থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রা/অ