বুধবা, ২৫ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১১:৪৮ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
নগরীতে সুইটমিট দোকানে বিএসটিআই’র অভিযানে ১০ হাজার টাকা তানোরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট আগুনে দুটি দোকান পুড়ে ছাঁই তানোরে ‘বড়দিন’ উদযাপনে ইউএনও’র কুশল বিনিময় ও শুভেচ্ছা তানোরে সার্কেল এএসপির গীর্জা পরিদর্শন ও কুশল বিনিময় পবায় বাসসের সভাপতি দুলাল ও সম্পাদক পলাশ মোহনপুরে চিরকুট লিখে চারটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি বড়দিন মানেই যেন স্বর্গীয় শান্তির নববারতা : জের্ভাস রোজারিও নগরীতে জুবায়েরপন্থীদের বিক্ষোভ শেষে সাদপন্থীর চারজনের বিরুদ্ধে জিডি বিয়ে করা হলোনা বাগমারার তরুন সেনা সজীবের বাগমারায় মোবাইল নম্বর দিয়ে একরাতে পল্লীবিদ্যুতের ১১টি মিটার চুরি দুর্গাপুরে বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ নাচোলে পিয়ারা বাগানে এক গৃহবধূ খুন সরাসরি জাহাজ আসছে পাকিস্তান থেকে, আমদানি বেড়েছে ২১ শতাংশ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ এলসি স্থগিত, শিগগিরই কাটছে না সার সংকট রাজশাহীতে টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন আরএমপির মাসিক কল্যাণ সভা আরএমপিতে মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত বিনাবেতনে শিক্ষা বিস্তারে তানোরে প্রতিবন্ধী প্রাক-প্রাথমিক কেন্দ্রের উদ্ধোধন গোদাগাড়ীতে জরিপে গিয়ে অবরুদ্ধ ১০ সার্ভেয়ার, মুচলেকায় মিলে ছাড়
ছাত্রীনিবাসে লাঞ্ছিত ও শ্লীলতাহানি, রাতে মিছিল নিয়ে থানায় ছাত্রীরা

ছাত্রীনিবাসে লাঞ্ছিত ও শ্লীলতাহানি, রাতে মিছিল নিয়ে থানায় ছাত্রীরা

এম এম মামুন :
রাজশাহী নগরীর ঝলক-পলক নামের একটি ছাত্রীনিবাসে নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগের জের ধরে শিক্ষার্থীরা গভীর রাতে একযোগে ছাত্রীনিবাস থেকে বের হয়ে থানায় গেছেন। মিছিল থেকে তারা বিচার চেয়ে নাান স্লোগান দেন। থানায় গিয়ে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে ছাত্রীনিবাসের মালিকসহ চারজনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত এই ছাত্রীনিবাসটির নাম ‘ঝলক-পলক মেস’। ছাত্রীনিবাসটিতে প্রায় ৩০০ ছাত্রী থাকেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করার জের ধরেই ঘটনার সূত্রপাত। পরে দিনভর ছাত্রীদের ছাত্রীনিবাসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে তাদের অভিযোগ। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে দুজনকে আটক করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রীরা মামলা করতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বোয়ালিয়া থানার দিকে রওনা দেন। তখন ছাত্রীরা জানান, তাদের বেশিরভাগ ছাত্রীই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রস্তুতির জন্য এই ছাত্রীনিবাসে আছেন। এই ছাত্রীনিবাসে টাকা বেশি নেওয়া হলেও খাবারের মান খুবই খারাপ।

রোববার সকালে নিম্নমানের খিচুড়ি পরিবেশনের প্রতিবাদ করেন এক ছাত্রী। তিনি এই ছাত্রীনিবাসে থাকবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ সময় মালিকপক্ষ ওই ছাত্রীকে জানায়, ছাত্রীনিবাসে ওঠার সময় তিনি যে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন সেখানে আছে যে ৭ মাসের আগে ছাত্রীনিবাস ছাড়া যাবে না। ওই ছাত্রী চুক্তিপত্র দেখতে চাইলে মালিক জানান, আইনজীবী ছাড়া এটা দেখা যাবে না।

নিজের স্বাক্ষর করা চুক্তিপত্র দেখতে আইনজীবী লাগবে কেন, এমন প্রশ্ন তুললে ছাত্রীনিবাসের মালিক তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। মালিকের দুই ছেলে ঝলক ও পলক এসে ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এতে অন্য ছাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে ঝলক ও পলক তার বন্ধুদের নিয়ে গিয়ে ছাত্রীদের হুমকি দেন যে, তারা তাদের রাজশাহীতেই থাকতে দেবেন না।

ছাত্রীদের অভিযোগ, সকালের ওই ঘটনার পর মালিকপক্ষ দিনভর তাদের ছাত্রীনিবাসে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাদের বলা হয়, রাতে ফটকের তালা খুলে দেওয়া হবে। তখন সবাইকে একযোগে ছাত্রীনিবাস ছাড়তে হবে। তখন ছাত্রীরা ফোন করে তাদের বন্ধুদের সহযোগিতা চান।

এরপর রাত ১১টার দিকে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী গিয়ে ছাত্রীনিবাসের তালা ভেঙে ছাত্রীদের বের করেন। খবর পেয়ে সেখানে যান নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ। তিনি ছাত্রীনিবাস থেকে দুজনকে আটক করে নিয়ে যান। এ সময় তিনি মামলা করার জন্য ভুক্তভোগী ছাত্রীদের থানায় ডেকে আসেন। পরে রাত ১২টার দিকে ছাত্রীরা মিছিল নিয়ে থানায় যান। ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলা করার পর রাত ২টার দিকে তারা থানা থেকে বের হন।

থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, আমি খবর পেয়েই সেখানে গিয়ে দুজনকে আটক করি। তাদের নিয়ে আসার সময় ছাত্রীদের বলি মামলা করার জন্য যেন তারা চলে আসেন। তারা যখন আসছিলেন, তখন অভিযান চালিয়ে আরও একজনকে আটক করা হয়। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রী চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তিনজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও কয়েকজন আসামি আছে। তাদেরও শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

রাতে বোয়ালিয়া থানায় ছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রীনিবাসটিতে মালিক ও মালিকেরা ছেলেরা এক ছাত্রীকে শারীরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন, শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছেন। খবর পেয়েই পুলিশ সেখানে যায় এবং তিনজনকে হেফাজতে নেয়।

তিনি বলেন, রাজশাহীতে অনেক মেস। এটা আমাদের মাথাতেই আসেনি যে, স্টুডেন্টরাও এ রকম থ্রেটের মুখে থাকে। এটা এখন আমাদের নলেজের মধ্যে আসলো। আমরা সজাগ থাকব। কেউ এ রকম ঘটনার মুখোমুখি হলে ৯৯৯ বা থানায় ফোন করলে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.