সমবার, ২৩ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৫:০৫ am
মো. মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের বাধাইড় মাঠে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) একটি গভীর নলকুপে অপারেটর পদে নিয়োগ পেতে নীতিমালা লঙ্ঘন করে আবেদন করা হয়েছে। অপারেটর নিয়োগের নীতিমালায় বলা আছে। অপারেটর নিয়োগে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কীমে তার নিজস্ব আবাদি জমি থাকতে হবে।
জানা গেছে, উপজেলার বাধাইড় ইউপির জেল নম্বর ৬৫ ও ৩৭২ নম্বর দাগে বিএমডিএর গভীর নলকুপ স্থাপন করার কথা। কিন্তু গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে ৩৩০ নম্বর দাগের উপর। যে জমির মালিক বাধাইড় গ্রামের মৃত গণপতি বর্মণের পুত্র অজিত বর্মণ। স্থাপনের পর থেকে কৃষকদের মতামতের ভিত্তিতে অজিত বর্মণ গভীর নলকুপ পরিচালনা করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে কৃষকদের কোনো অভিযোগও নেই। তাছাড়া ওই গভীর নলকুপ স্কীমে অজিত বর্মণের প্রায় কুড়ি বিঘা জমি রয়েছে।
জানা গেছে, এবছর ওই গভীর নলকুপের অপারেটর নিয়োগ পেতে আবেদন করেছেন অজিত বর্মণের পুত্র দুর্জয় বর্মণ ও মনিরা বেগম। কিন্তু মনিরা বেগম স্বামীর সঙ্গে রাজশাহী শহরে বসবাস করেন। এছাড়াও গভীর নলকুপ স্কীমে মনিরা বেগমের কোনো জমি নেই। এমনকি স্কীমের কৃষকেরাও মনিরা বেগমের পক্ষে নাই। ফলে নীতিমালা অনুসরণ করে মনিরা বেগমের অপারেটর নিয়োগ পাবার কোনো সুযোগ নেই। তাকে অপারেটর নিয়োগ করা হলে কৃষকেরা চরম ক্ষতির মুখে পড়বে। তারা কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে অপারেটর নিয়োগের দাবি করেছেন।
কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয়ের একটি প্রভাবশালী মহল বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে কৃষকদের মতামত উপেক্ষা ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে মনিরা বেগমকে অপারেটর নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইতমধ্যে তারা বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। এনিয়ে স্কীমের কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান বলেন, এবার অপারেটর নিয়োগ হবে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, অপারেটর নিয়োগে তদ্বিরের কোনো সুযোগ নেই। রা/অ