শনিবর, ২১ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১০:৩৪ pm
এম এম মামুন :
টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে জুবায়েরপন্থী ও সাদপন্থীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জুবায়েরপন্থীরা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে কেশরহাট যাত্রী ছাউনির সামনেব এ কর্মসূচি পালন করেন জুবায়েরপন্থীরা। এই সমাবেশ থেকে ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানান বক্তারা।
তারা বলেন, অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারের উপর নানামুখী চাপ সৃষ্টি করার জন্য পতিত স্বৈরাচারের দোসররা একের পর এক ইস্যু সৃষ্টি করে ব্যর্থ হয়ে এবার তারা তাবলিগ জামাতের দ্বিধা বিভক্তিকে কাজে লাগিয়ে মাঠ গরম করতে চাইছেন। এ জন্য পরিকল্পিতভাবে সাদপন্থীরা গত ১৭ ডিসেম্বর ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে ঘুমন্ত মুসলিমদের উপর হামলা করেন।
বক্তারা বলেন, তাবলিগ জামাতের শত বছরের ইতিহাসে কিছু মতপার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের বিগত আওয়ামী সরকার সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের মতভেদ দূর করার বদলে আলাদা আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমা করার সুযোগ দিয়ে বিরোধ জিঁইয়ে রাখতে মদদ দিয়েছিল। বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৮ সালে সাদপন্থীদের অতর্কিত হামলায় জুবায়েরপন্থীদের হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।
এ কারণে সে বছর জনরোষের মুখে মাওলানা সাদ কান্দলভি টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যেতে পারেননি। কাকরাইল মসজিদ থেকেই দিল্লীতে ফেরত যেতে হয়েছিল। সাদপন্থীদের প্রতি হাসিনা সরকারের পক্ষপাতিত্বের কারণে তাবলিগের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেম-ওলামাদের মতামত অগ্রাহ্য করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
তারা বলেন, এই সংঘাতের জন্য অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী অনুচরদেরও দায়ী করেছেন কেউ কেউ। এরা ফ্যাসিবাদের দোসর। তারা আবার হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তাই সাদপন্থীদের চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সমাবেশ থেকে বক্তারা ইজতেমা ময়দানে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিচার নিশ্চিত করারও দাবি জানান। কর্মসূচিতে মুফতি সাইফুল্লাহ, মাওলানা মুজাফফার হোসাইন,মাওলানা আব্দুল হালিম, মুফতি ওমর ফারুক, মাওলানা আব্দুল গফুর, মুফতি নাইমুল হাসান রাজি, প্রফেসর মেহেদী হাসান,মুফতি আব্দুল্লাহ তালহাসহ জুবায়েরপন্থী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রা/অ